গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে জিম্মি উদ্ধার অভিযানে নিহত পাঁচ জঙ্গিসহ ছয়জনের ডিএনএ তাঁদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মিলেছে। তদন্তে আর প্রয়োজন না হলে স্বজনেরা চাইলে জঙ্গিদের লাশ তাঁদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার মাসুদুর রহমান এ কথা জানিয়েছেন। ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে তিনি জানান, গতকাল সোমবার ডিএমপির কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল ক্রাইম বিভাগে ডিএনএ পরীক্ষার ফলাফল এসেছে। এতে দেখা গেছে, নিহত জঙ্গিদের প্রত্যেকের সঙ্গে তাঁদের পরিবারের সদস্যদের ডিএনএ মিলেছে।
পরিচয় নিশ্চিত হওয়ায় লাশ হস্তান্তর হবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে উপকমিশনার বলেন, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা যদি মনে করেন মামলার প্রয়োজনে লাশগুলোর আর প্রয়োজন নেই, তাহলে তিনি লাশ হস্তান্তর করতে পারেন। এর জন্য স্বজনদের লাশ নেওয়ার জন্য আবেদন করতে হবে।
গুলশানের জিম্মি উদ্ধার অভিযানে নিহত পাঁচ জঙ্গি হলেন মাদ্রাসার শিক্ষার্থী খায়রুল ইসলাম ওরফে পায়েল, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের রোহান ইবনে ইমতিয়াজ, স্কলাস্টিকার মীর সামেহ মোবাশ্বের, মালয়েশিয়ার মোনাশ ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী নিবরাস ইসলাম এবং বগুড়ার শফিকুল ইসলাম ওরফে উজ্জ্বল। জঙ্গিদের সহায়তাকারী সন্দেহে অভিযানে নিহত হন হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁর বাবুর্চি সাইফুল ইসলাম চৌকিদার।
গত ১ জুলাই রাতে জঙ্গিরা ওই রেস্তোরাঁয় অতর্কিতে হামলা চালিয়ে দেশি-বিদেশি ২০ নাগরিককে নৃশংসভাবে হত্যা করেন। ওই রাতে অভিযান চালাতে গিয়ে জঙ্গিদের বোমায় নিহত হন পুলিশের দুজন কর্মকর্তা। পরদিন সকালে সেনা নেতৃত্বে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানে পাঁচ জঙ্গিসহ ছয়জন নিহত হন। নিহত জঙ্গিদের লাশ সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের মর্গে রয়েছে।