রাজধানীতে ওয়াসারসহ বিভিন্ন ধরনের উৎপাদিত পানির গুণগত মান পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট। সম্প্রতি ইনস্টিটিউট কর্তৃপক্ষ ওয়াসা কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়ে জানিয়ে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহকৃত পানির নমুনা সংগ্রহ করে।
এছাড়া বিভিন্ন কোম্পানির বোতলজাত ও জারে বিক্রিত পানির নমুনাও বাজার থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। ওয়াসার ২০টি স্পট ছাড়াও কোম্পানি ও জারের প্রতিটির ২০টি করে ৪০টিসহ মোট ৬০টি নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, ল্যাবরেটরির পরীক্ষা-নিরীক্ষায় নমুনা পানিতে প্রধানত ক্ষারক (পিএইচ), দ্রবীভূত বস্তু (ডিজলবড সলিড) ইকোলাই ও এপিসিসহ (অ্যারাবিক প্লেট কাউন্ট) আট ধরনের উপাদানের পরিমাণ নির্ণয় করে দেখা হচ্ছে।
জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের একাধিক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জাগো নিউজকে বলেন, পানির অপর নাম জীবন। সেই পানি নিয়ে সংঘবদ্ধ চক্র বহু বছর যাবত অপব্যবসা চালিয়ে আসছে। ছোটবড় বিভিন্ন কোম্পানি বিভিন্ন নামে বোতলজাত ও জারে ‘মিনারেল’ পানি উৎপাদন ও বিক্রি করছে। সেই সব উৎপাদিত পানির বহুসংখ্যকের গুণগত মান নিয়ে প্রশ্ন ও অভিযোগ দীর্ঘদিনের। ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিভিন্ন সময় অভিযানকালে ওয়াসার সরবরাহকৃত পানি বোতল ও জারে ভর্তি করে বিক্রির প্রমাণ মিলেছে।
তারা বলেন, দূষিত পানিপানের কারণে ডায়রিয়াসহ পানিবাহিত বিভিন্ন রোগব্যাধিতে নগরীর বিভিন্ন বয়সের নারী, পুরুষ ও শিশুরা আক্রান্ত হচ্ছে। সার্বিকভাবে বাজারে বিক্রিত সব প্রকার পানির গুণগত মান খতিয়ে দেখতে এ পরীক্ষা-নিরীক্ষার ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে তারা জানান।
ভিন্ন একটি সূত্র জানায়, পানির নমুনার সংখ্যা ৬০টিতে না রেখে নমুনা সংখ্যা আরো বৃদ্ধির চিন্তাভাবনা চলছে।
জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের পরিচালক ডা. মো. জাফরউল্যাহর কাছে জানতে চাইলে তিনি ওয়াসা, বোতলজাত ও জার পানির নমুনা ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা-নিরীক্ষার কথা স্বীকার করলেও ফলাফল তৈরির আগে বিস্তারিত কিছু বলতে রাজি হননি।