1. sardardhaka@yahoo.com : adminmoha : Sardar Dhaka
  2. nafij.moon@gmail.com : Nafij Moon : Nafij Moon
  3. rafiqul@mohajog.com : Rafiqul Islam : Rafiqul Islam
  4. sardar@mohajog.com : Shahjahan Sardar : Shahjahan Sardar
শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:৫৪ পূর্বাহ্ন

বগুড়ায় সাংবাদিক দীপংকর হত্যার ‘দায় স্বীকার’ রাজীব গান্ধীর

মহাযুগ নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ৭ মার্চ, ২০১৭
  • ৩২৮ বার

প্রতিবেদক : এক যুগ আগে বগুড়ার সাংবাদিক দীপংকর চক্রবর্তী হত্যার ঘটনায় ঢাকার হলি আর্টিজানে হামলার ‘অন্যতম পরিকল্পনাকারী’ জেএমবি নেতা রাজীব গান্ধী দায় স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। বগুড়ার পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান মঙ্গলবার সাংবাদিকদের বলেন, রাজীবসহ চারজন সাংবাদিক দীপংকর চক্রবর্তীকে হত্যায় অংশগ্রহণ করেন। দীপংকর জেএমবির বিরুদ্ধে লেখালিখি করতেন বলে তাকে হত্যা করা হয়।
গত বছর ১ জুলাই ঢাকার গুলশানে হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলায় ১৭ বিদেশিসহ ২২ জন মারা যান। সেখানে সশস্ত্র বাহিনীর উদ্ধার অভিযানে ৫ হামলাকারীসহ মারা যান আরও ছয়জন।

এই হামলার ‘অন্যতম পরিকল্পনা’সহ ২২টি হত্যা ও হত্যাচেষ্টা মামলার আসামি রাজীব গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের পশ্চিম রাঘবপুর গ্রামের ওসমান আলীর ছেলে।

চলতি বছর ১৪ জানুয়ারি ঢাকার কেরানীগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার হওয়া ৩৩ বছর বয়সী রাজীব মো. জাহাঙ্গীর আলম, নাছির, রাজীব গান্ধী, সুভাষ, জাহিদ, জাকির, আদিল, টাইগার, আবু ওমর আল বাঙ্গাল নামেও পরিচিতি।

পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান বলেন, জেএমবি নেতা সিদ্দিকুল ইসলাম ওরফে বাংলা ভাই ও শায়খ আব্দুর রহমানের জামাতা আব্দুল আউয়ালের নির্দেশে সাংবাদিক দীপংকর চক্রবর্তীকে হত্যার কথা আদালতে স্বীকার করেছেন রাজীব গান্ধী।

“দীপংকর জেএমবির বিরুদ্ধে লেখালিখি করতেন বলে তাকে হত্যা করা হয় বলে রাজীবের বক্তব্য।”

রাজীবের বরাতে পুলিশ সুপার বলেন, বগুড়ার জহুরুল নগরে একটি মেসে বসে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়। হত্যার আগের রাত ১০টায় মানিক মোটরসাইকেলে করে সানাউল্লা ও নুরুল্লাহকে নিয়ে শেরপুরে যান। এর আগেই বাসে করে সেখানে পৌঁছান রাজীব গান্ধী।

“রাজীবের দায়িত্ব ছিল গতিবিধি লক্ষ করা। আর হত্যার দায়িত্ব ছিল সানাউল্লা ও নুরুল্লাহর। ২০০৪ সালের ২ অক্টোবর রাত ১২টায় বগুড়া থেকে কাজ শেষে সাংবাদিক দীপংকর শেরপুরে থেমে একটি হোটেলে চা খান। কিছুক্ষণ পরে বাসার সামনে তাকে হত্যা করা হয়।”

দীপংকর ছিলেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সাবেক সহ-সভাপতি ও স্থানীয় দৈনিক দুর্জয় বাংলার নির্বাহী সম্পাদক।

পুলিশ সুপার বলেন, ধারালো অস্ত্রের আঘাতে তার দেহ থেকে মাথা প্রায় বিচ্ছিন্ন করে ফেলা হয়।

ঘটনার পর দীপংকরের ছেলে সারথী চক্রবর্তী বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যামামলা দায়ের করেন।

মামলাটি ক্লু-লেস বলে আদালতে চারবার প্রতিবেদন দেওয়া হলেও বাদী না-রাজি দেওয়ায় এখনও তদন্ত চলছে বলে জানান পুলিশ সুপার।

এ জাতীয় আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2023 Mohajog