1. sardardhaka@yahoo.com : adminmoha : Sardar Dhaka
  2. nafij.moon@gmail.com : Nafij Moon : Nafij Moon
  3. rafiqul@mohajog.com : Rafiqul Islam : Rafiqul Islam
  4. sardar@mohajog.com : Shahjahan Sardar : Shahjahan Sardar
বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৪৮ পূর্বাহ্ন

চাকরি পরিবর্তনে যা বলা প্রয়োজন

মহাযুগ নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ১২ মার্চ, ২০১৭
  • ৩১৩ বার

মহাযুগ ডেস্ক: তরুণ ও অভিজ্ঞ পেশাজীবীদের মধ্যে চাকরি পরিবর্তনের প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়।

শুধু যে আর্থিক কারণেই চাকরি পরিবর্তন করা হয় এমনটি নয়। চাকরি পরিবর্তনের পেছনে অনেকগুলো কারণ থাকে। তার মধ্যে একটি হচ্ছে আর্থিক সুযোগ সুবিধা। কর্মপরিবেশ, পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতি ও ভবিষ্যত পরিকল্পনার ওপর ভিত্তি করে অনেকেই চাকরি পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন। এক্ষেত্রে যেসব বিষয় খেয়াল করা প্রয়োজন চলুন জেনে নেওয়া যাক।

* বেতন নিয়ে আলোচনা : চাকরি হচ্ছে নিজের সময় ও শ্রম পারিশ্রমিকের বিনিময়ে নিয়োজিত করা। আপনি কাজ করবেন আর তার জন্য আর্থিক প্রতিদান নেবেন এটাই স্বাভাবিক ব্যাপার। তাই যেটা জীবন ধারনের জন্য প্রয়োজন তা নিয়ে কথা বলতে দ্বিধা করবেন না। অনেকে নতুন চাকরির ক্ষেত্রে বেতন নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করতে দ্বিধাবোধ করেন। আর তাই কাঙ্ক্ষিত বেতনের চাকরি লাভ করা থেকে বঞ্চিত হন। চাকরি শুরুর আগে বেতনের প্রসঙ্গ আসলে নির্ধিদ্বায় আপনার যোগ্যতা অনুযায়ী বেতনের কথা বলতে পারেন।

* আগের প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে আলোচনা : প্রসঙ্গত জিজ্ঞেস করা হতেই পারে আপনি আগের চাকরিটা ছাড়তে চান কেন? এটা একটা অতি স্বাভাবিক প্রশ্ন। এক্ষেত্রে ব্যক্তিভেদে আচরণ ভিন্ন হতে পারে। আগের প্রতিষ্ঠানের সহকর্মী কিংবা বস সম্পর্কে কোনো কিছু বলার ক্ষেত্রে সচেতন থাকুন। সেখান থেকে আপনার বিশেষ প্রাপ্তিগুলো নিয়ে নির্ধিদ্বায় বলতে পারেন। এছাড়া নতুন প্রতিষ্ঠানের সম্ভাব্য সুযোগ সুবিধা নিয়ে আলোচনা করতে পারেন, যে কারণে আপনি উক্ত প্রতিষ্ঠানে কাজ করতে আগ্রহী।

* বেতন বৃদ্ধি কিংবা পদোন্নতি : প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে বেতন ও বোনাস বিষয়ে একটি নির্দিষ্ট কাঠামো থাকে। বেতন বৃদ্ধির ক্ষেত্রেও একটা নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়। প্রতিটি মানুষই জীবনে সফল হতে চায়। অবস্থা পরিবর্তনের জন্য কাজে দক্ষতা অর্জনের পাশাপাশি পেশাগত পদমর্যাদা বৃদ্ধির আকাঙ্ক্ষা সহজাত। এক্ষেত্রে এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা দোষের কিছু নয়। তবে তা হতে হবে মার্জিত উপায়ে।

* আনুষাঙ্গিক সুযোগ সুবিধা : চাকরি পরিবর্তনের ক্ষেত্রে আনুষাঙ্গিক সুযোগ সুবিধাকেও বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়। আগের প্রতিষ্ঠানের চেয়ে বেশি সুযোগ সুবিধা পেলেই সাধারণত চাকরি পরিবর্তনের সম্ভাবনা দেখা যায়। তা হতে পারে আগের প্রতিষ্ঠানের চেয়ে বেতন বেশি, যানবাহন সুবিধা, বিভিন্ন ধরনের ভাতা, প্রশিক্ষণ, ছুটি, নেতৃত্বের সুবিধা এমন বিষয়গুলোকেও গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হয়। এছাড়াও সরকারি ছুটি ছাড়া বছরে কত দিন অতিরিক্ত ছুটি পাওয়া যাবে সে বিষয়টিও জেনে নেওয়া যেতে পারে। এর কারণ হচ্ছে কিছু কিছু প্রতিষ্ঠানে জরুরি প্রয়োজনে ছুটি নিয়ে কর্মীদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা যায়।

কোনো কোনো প্রতিষ্ঠানে সপ্তাহের ৫ দিন অফিস করতে হয় আবার কোনো প্রতিষ্ঠানে কাজ করতে হয় ৬ দিন। সপ্তাহে একদিন বাড়তি ছুটির প্রত্যাশায়ও অনেকে চাকুরি পরিবর্তন করে থাকেন।

* কর্মঘণ্টা : একেক অফিসের কর্মঘণ্টা একেক রকম। কোনো কোনো অফিসে কর্মঘণ্টা শুরু হয় সকাল ৯ টায়। অফিস শেষ হয় বিকেল ৫ টায়। আবার কোনো কোনো অফিসে কর্মঘণ্টা শুরু সকাল ১০টায়। বিশেষ কিছু দায়দায়িত্ব পালনের জন্য ৮ ঘণ্টার বেশি সময় অফিসে দায়িত্ব পালন করার প্রয়োজন হতে পারে। এ ধরনের বিষয়ে আগে থেকেই স্বচ্ছ ধারণা থাকা ভালো।

* চাকরি স্থায়ী নাকি অস্থায়ী : কিছু কিছু নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রথমে অস্থায়ীভাবে নিয়োগ দেওয়া হয়। পরবর্তীতৈ কর্মদক্ষতা ও অভিজ্ঞতার আলোকে নিয়োগ দেওয়া হয়। এ ধরনের বিষয়ে আগে থেকেই স্বচ্ছ ধারণা থাকা ভালো। এমনটিও হতে পারে কোম্পানির দেওয়া শর্ত ও কাজ আপনার জন্যে চ্যালেঞ্জিং হতে পারে। এ ধরনের ক্ষেত্রে খোলামেলা কথা বলুন। চাকরি স্থায়ী হওয়ার পরবর্তী সুযোগ সুবিধাগুলো নিয়েও আলোচনা করতে পারেন।

* আমি কি দিতে পারি : কথাটি কারো কারো কাছে অমূলক কিংবা উদ্ভট মনে হতে পারে। অধিকাংশ মানুষের চিন্তা জুড়ে থাকে আমি কি পেতে পারি, কীভাবে পেতে পারি। চাকরিদাতারা আসলে আপনার কাছ থেকে বিশেষ কিছু প্রত্যাশা করে। যা আপনি দিতে পারেন। তা হতে পারে আপনার বিশেষ কোনো দক্ষতা কিংবা গুণ। আর তাই আপনার দক্ষতার কথাগুলোও অবস্থা বুঝে শেয়ার করতে পারেন। সহযোগিতার মানসিকতা নিয়ে এগোলে সেখানে সাফল্যের সম্ভাবনাই বেশি।

এ জাতীয় আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2023 Mohajog