মহাযুগ ডেস্ক: গরমে রোদে মাথাব্যথা শুরু হয়ে গেছে। গ্রীষ্মের প্রখর দাবদাহে এমন ঘটনা প্রায়ই ঘটে। কিন্তু গরম বা রোদের সঙ্গে মাথাব্যথার সত্যি কি কোনো সম্পর্ক আছে? হ্যাঁ, আছে। বেশ কয়েকটি কারণে এই গরমে আপনি মাথাব্যথায় আক্রান্ত হতে পারেন।
প্রথমটি হলো পানিশূন্যতা। খুব ঘেমে গেলে আমরা শরীর থেকে প্রচুর পানি ও লবণ হারাই। এর ফলে শরীর পানিশূন্য হয়, ইলেকট্রোলাইট বা লবণের তারতম্য হয়। এর একটা উপসর্গ হলো মাথা ধরা, মাথা ঝিমঝিম করা, স্পষ্ট চিন্তা না করতে পারা। অনেকক্ষণ বাইরে কাটানোর পর এমন বোধ হলে দ্রুত পানি পান করুন অথবা লবণপানি, ডাবের পানি, লেবুর শরবত ইত্যাদি পান করুন। দেখবেন মাথা ধরা অনেকটাই কম মনে হচ্ছে।
এ ছাড়া গরমে ঘামে ভিজে ও আর্দ্র আবহাওয়ায় সাইনোসাইটিসের সমস্যা বেড়ে যেতে পারে। ফলে নাক বন্ধ, সর্দি জমার সঙ্গে প্রচণ্ড মাথাব্যথায় আক্রান্ত হতে পারেন। সাইনাসের ভেতর পুঁজ বা সর্দি জমার কারণে এমন হয়। আবার চুল ঘেমে গিয়ে (বিশেষ করে মেয়েদের ও ছোট শিশুদের) ঠান্ডা লাগার মতো হয় ও মাথাব্যথা শুরু হয়। এসব ক্ষেত্রে ঘেমে গেলে দ্রুত মাথা ও শরীর মুছে ফেলতে হবে, ভেজা জামাকাপড় পালটে ফেলতে হবে। পাতলা সুতি জামাকাপড় পরবেন। সাইনোসাইটিসের ব্যথা বেড়ে গেলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খেতে পারেন।
গরম, বিশেষ করে প্রখর রোদে মাইগ্রেনের রোগীদের মাথাব্যথা শুরু হওয়া বিচিত্র নয়। এ ছাড়া গরমে আইসক্রিম, চকলেট জাতীয় খাবার খেলেও মাইগ্রেনের ব্যথা বাড়ে। সূর্যের তীব্র আলো চোখে পড়লে এই মাথাব্যথা শুরু হয়। তাই রোদ থেকে বাঁচতে রোদচশমা বা ছাতা ব্যবহার করা উচিত। দুপুরের তীব্র রোদে বাইরে বেরোনো, বিশেষ করে কোলাহলময় এলাকা যেমন মার্কেট, মেলা ইত্যাদি জায়গা এড়িয়ে চলতে হবে মাইগ্রেন রোগীদের।
মোট কথা, এই মৌসুমে প্রায়ই মাথাব্যথায় আক্রান্ত হওয়া অস্বাভাবিক নয়। তবে যথেষ্ট পানি পান, প্রখর রোদ এড়িয়ে বা নিজেকে বাঁচিয়ে চলা ও অতিরিক্ত ঘাম থেকে নিজেকে রক্ষা করে এই মাথাব্যথা থেকে বাঁচতে পারেন।