তিনি বলেন, “তোমরা অপকর্মে লিপ্ত হবা না। টাকার দরকার হলে আমার কাছে এসো। যখন ছাত্রত্ব শেষ করবে, চাকরি দরকার, আমার কাছে আসবে। এটা নেত্রী আমাকে বলে দিয়েছেন। এমন কিছু করবে না যাতে সংগঠনের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়।”
তবে ক্ষমতাসীন দল করলেই যে চাকরি হবে- সে নিশ্চয়তা নেই বলেও মন্তব্য করেন সরকারের সেতুমন্ত্রী কাদের।
“রিটেনে (লিখিত পরীক্ষা) টিকবে, তারপর। নিয়মমত আমি প্রত্যেকের জন্য চেষ্টা করব।”টেন্ডার নিয়ে ছাত্ররা ‘মারামারি করে’ মন্তব্য করে কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজের দরপ্রস্তাবে ই-টেন্ডারিং চালু করতে বলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
তিনি বলেন, “অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা টেন্ডার খেলায় মেতে উঠেছেন। আর এই টেন্ডার নিয়ে ছাত্রদের মধ্যে মারামারি হয়। এখনো কেন আপনারা এনালগে আছেন? কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের সব টেন্ডারের জন্য দয়া করে ই-টেন্ডার সিস্টেম চালু করুন।”
ছাত্রলীগের পদ ভাগাভাগি নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতারা ‘অশুভ খেলায়’ মেতে উঠেছেন বলেও মন্তব্য করেন কাদের।
“নিজের দল ভারী করার জন্য স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা, এমপি মন্ত্রীরা ছাত্রলীগের শেয়ার দাবি করলে সেটা দেওয়া যাবে না। স্বার্থ রক্ষার পাহারাদার কেন হবে ছাত্রলীগ? এই অশুভ খেলায় আজ বহু জায়গায় ছাত্রনেতারা স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ও এমপি-মন্ত্রীদের বাসার ড্রয়িং রুমে যাচ্ছে।”
তিনি বলেন, “ছাত্রলীগের কমিটি ছাত্রলীগ করবে, সম্মেলনের পর কমিটি নিয়ে ঢাকায় আসা যাবে না। বিলম্বিত কমিটি অযোগ্যদের সুবিধা করে দেয়। ছাত্রলীগের কমিটি ছাত্রলীগ দেবে। নিজেদের স্বকীয়তা বজায় রাখতে হবে।”
সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের বিরোধিতায় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের সরব হওয়ার আহ্বান জানান কাদের।তিনি বলেন, “গ্রাম থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত অপপ্রচার রোধ করতে ছাত্রলীগকে একটা করে ফেইসবুক গ্রুপ তৈরি করতে হবে।”
ছাত্রলীগের বর্তমান নেতাদের উদ্দেশে সাবেক এই সভাপাতি বলেন, “মিছিলে না এলে হলে সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের সিট বাতিল করবে, এটা চলবে না। তাদের বোঝাবে, তোমার ভালো আচরণ দিয়ে তাদের বোঝাবে। জোর করে ক্ষমতার দাপট দেখাবে না।”
ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী পান্না, সাবেক সভাপতি মাহমুদুল হাসান রিপন, সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ ও বর্তমান সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।