1. sardardhaka@yahoo.com : adminmoha : Sardar Dhaka
  2. nafij.moon@gmail.com : Nafij Moon : Nafij Moon
  3. rafiqul@mohajog.com : Rafiqul Islam : Rafiqul Islam
  4. sardar@mohajog.com : Shahjahan Sardar : Shahjahan Sardar
বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৫৪ পূর্বাহ্ন

২৬৫ রানের টার্গেট দিল বাংলাদেশ

মহাযুগ নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ১৫ জুন, ২০১৭
  • ২৪৯ বার
Bangladesh cricketer Taskin Ahmed (L) plays a shot as Indian crikcet captain Mahendra Singh Dhoni looks on during the Asia Cup T20 cricket match between India and Bangladesh at Sher-e-Bangla National Cricket Stadium in Dhaka on February 24, 2016. / AFP / MUNIR UZ ZAMAN (Photo credit should read MUNIR UZ ZAMAN/AFP/Getty Images)

ক্রীড়া ডেস্ক : শুরুর ধাক্কা খুব ভালোভাবে সামাল দিয়েছিলেন তামিম ইকবাল ও মুশফিকুর রহিম। ২ উইকেটে ১৫৯ রানের দৃঢ় ভিতের ওপর দাঁড় করিয়েছিলেন দলকে। সেখান থেকে তিনশ পর্যন্ত যাওয়া খুব কঠিন ছিল না। কিন্তু পরের ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় থামতে হল তার অনেক আগেই।শেষ পর্যন্ত যে বাংলাদেশ ৭ উইকেটে ২৬৪ রান পর্যন্ত গেল তাতে বড় অবদান মাশরাফি বিন মুর্তজার। ৩০ রানে অপরাজিত ছিলেন অধিনায়ক।

তামিমের ৭০ আর মুশফিকের ৬১ রানের বাইরে প্রথম সাত ব্যাটসম্যানের কেউ ত্রিশের ঘরে যেতে পারেননি। নয়তো দ্বিতীয় সেমি-ফাইনালে ভারতকে আরও বড় লক্ষ্য দেওয়া সম্ভব ছিল।

অনিয়মিত স্পিনার কেদার যাদব মাঝের ওভারে করেছেন সবচেয়ে বড় সর্বনাশ। ৬ ওভারে ২২ রান দিয়ে নিয়েছেন তামিম আর মুশফিকের উইকেট।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

বাংলাদেশ: ৫০ ওভারে ২৬৪/৭ (তামিম ৭০, সৌম্য ০, সাব্বির ১৯, মুশফিক ৬১, সাকিব ১৫, মাহমুদউল্লাহ ২১, মোসাদ্দেক ১৫, মাশরাফি ৩০*, তাসকিন ১১*; ভুবনেশ্বর ২/৫৩, বুমরাহ ২/৪০, অশ্বিন ০/৫৪,পান্ডিয়া ০/৩৪, জাদেজা ১/৪৮, যাদব ২/২২)

বুমরাহর দ্বিতীয় শিকার মাহমুদউল্লাহ

শেষের ঝড় তোলার জন্য যে দুই জনের দিকে তাকিয়ে ছিল বাংলাদেশ সেই দুই জনকে পরপর দুই ওভারে ফিরিয়ে দিয়েছেন জাসপ্রিত বুমরাহ। আগের ওভারে মোসাদ্দেক হোসেনের ফিরতি ক্যাচ নেওয়ার পর বোল্ড করেছেন মাহমুদউল্লাহকে।

২১ রান করে মাহমুদউল্লাহ যাওয়ার সময় বাংলাদেশের স্কোর ২২৪/৭।

ফিরে গেলেন মোসাদ্দেক

টানা পাঁচ বল গেল ডট, রানের জন্য মরিয়া হয়ে গেলেন মোসাদ্দেক হোসেন। মাশুল দিলেন তার। জাসপ্রিত বুমরাহকে পুল করতে গিয়ে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে বিদায় নিলেন মিডল অর্ডার এই ব্যাটসম্যান।

৪৩ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ২২০/৬। ১৮ রান করা মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে ক্রিজে যোগ দিয়েছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা।

বাংলাদেশের দুইশ

শতরানের জুটির পর দ্রুত ৩ উইকেট হারানো বাংলাদেশের সংগ্রহ দুইশ পার হয় ৪০তম ওভারে। মহেন্দ্র সিং ধোনি গ্লাভস ফেলে এসে বল ছুড়ে স্টাম্প ভাঙার চেষ্টা করেন। বল স্টাম্পে যায়নি, লাগে গিয়ে গ্লাভসে। ৫ রান বাড়তি পেয়ে যায় বাংলাদেশ।

৪০ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ২০৭/৫। মাহমুদউল্লাহর রান ১১, মোসাদ্দেক হোসেনের ১০।

জীবন পেলেন মাহমুদউল্লাহ

রবিচন্দ্রন অশ্বিনের ব্যর্থতায় বেঁচে গেলেন মাহমুদউল্লাহ। হার্দিক পান্ডিয়ার বাউন্সারে থার্ড ম্যানে ক্যাচ দিয়েছিলেন তিনি। ছুটে এসে দুই হাতে জমাতে পারেননি অশ্বিন, চার রান পেয়ে যান মাহমুদউল্লাহ। সে সময় ৪ রানে ছিলেন তিনি।

মুশফিকের বিদায়ে চাপে বাংলাদেশ

তামিম ইকবাল ও সাকিব আল হাসানের পর মুশফিকুর রহিমকে হারিয়ে চাপে পড়েছে বাংলাদেশ। অনিয়মিত অফ স্পিনার কেদার যাদবের দ্বিতীয় শিকার ৮৫ বলে চারটি চারে ৬১ রান করা মুশফিক।

প্রচুর ডট বলে তৈরি হওয়া চাপ কাটাতে কেদারের ওপর চড়াও হতে চেয়েছিলেন লম্বা সময় ধরে ব্যাট করা মুশফিক। টাইমিং কিছুই হয়নি, ক্যাচ যায় সোজা বিরাট কোহলির হাতে।

৩৬ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ১৮৩/৫। মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে ক্রিজে যোগ দিয়েছেন মোসাদ্দেক হোসেন।

ফিরে গেলেন সাকিব

আগের ম্যাচে দারুণ এক শতক পাওয়া সাকিব আল হাসান এবার বেশিক্ষণ টিকেননি। তামিম ইকবালের বিদায়ের পর মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে জুটি জমে উঠার আগেই ফিরেছেন বিশ্বের অন্যতম সেরা এই অলরাউন্ডার।

রবীন্দ্র জাদেজার বল কাট করতে গিয়ে ব্যাটের নিচের কানায় লেগে সাকিবের ক্যাচ যায় মহেন্দ্র সিং ধোনির কাছে। বাঁহাতি ব্যাটসম্যান ফিরেন ২৩ বলে ১৫ রান করে।

৩৫ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ১৭৯/৪। মুশফিকের সঙ্গে ক্রিজে যোগ দিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ।
তামিমকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙলেন কেদার
অনিয়মিত অফ স্পিনার কেদার যাদবের ওপর চড়াও হতে গিয়ে ফিরেছেন তামিম ইকবাল। সুইপ করতে গিয়ে বোল্ড হয়েছেন বাঁহাতি উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান। ৮২ বলে খেলা তামিমের ৭০ রানের ইনিংসটি গড়া ৭টি চার ও একটি ছক্কায়।

২৮ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ১৫৪/৩। তামিমের সঙ্গে ১২৩ রানের জুটিতে মুশফিকের অবদান ৫২ রান। তার সঙ্গে ক্রিজে যোগ দিয়েছেন আগের ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় সাকিব আল হাসান।

মুশফিকের অর্ধশতক, বাংলাদেশের দেড়শ

এসেই তিনটি চার হাঁকানো মুশফিকুর রহিম ৬১ বলে পৌঁছেছেন অর্ধশতকে। শুরুতে চাপটা সরিয়ে নিয়েছেন তিনিই। প্রান্ত বদল করে খেলে সচল রেখেছেন রানের চাকা। তামিম ইকবালের সঙ্গে গড়েছেন শতরানের জুটি। দলকে রেখেছেন বড় সংগ্রহের পথে।

অর্ধশতক হাঁকানোর পথে চারটি চার হাঁকিয়েছেন মুশফিক।

২৭ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ১৫২/২। তামিমের রান ৭০, মুশফিকের ৫১।
তামিম-মুশফিকের শতরানের জুটি
রবিচন্দ্রন অশ্বিনের বলে মুশফিকুর রহিমের স্কুপে তিন অঙ্কে যায় তৃতীয় উইকেট জুটির রান। ১০৫ বলে আসে তামিমের সঙ্গে তার শতরানের জুটি।

ওয়ানডেতে বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি চারটি শতরানের জুটি ছিল সাকিব আল হাসান-মুশফিকের। ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে সেই রেকর্ড স্পর্শ করলেন তামিম-মুশফিক। ৩৫ ইনংসে এটি তাদের চতুর্থ শতরানের জুটি।

অশ্বিনের আগের ওভারেই টানা তিন চার হাঁকিয়ে নিজের বল-রানের ব্যবধান কমিয়ে এনেছেন মন্থর শুরু করা তামিম।

২৪ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ১৩৭/২। তামিমের রান ৭০ বলে ৬৫, মুশফিকের ৫৩ বলে ৪২।
আবার চূড়ায় তামিম
রবীন্দ্র জাদেজাকে চার হাঁকিয়ে পঞ্চাশ স্পর্শ করার সঙ্গে আবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির রান সংগ্রাহকদের তালিকার শীর্ষে উঠেছেন তামিম ইকবাল। এই সময়ে তার রান ২৭৩। পেছনে ফেলেছেন ভারতের উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান শিখর ধাওয়ানকে (২৭১)।

তামিমের অর্ধশতক, দলের শতক

প্রথমবারের মতো বল করতে আসা রবীন্দ্র জাদেজার বলে ১ রান নিয়ে দলের রান তিন অঙ্কে নিয়ে যান মুশফিকুর রহিম। পরের বলে চার হাঁকিয়ে টুর্নামেন্টে নিজের দ্বিতীয় অর্ধশতক পূর্ণ করেন তামিম ইকবাল। বাঁহাতি এই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানের একটি শতকও রয়েছে।

৬২ বলে অর্ধশতক করার পথে একটি ছক্কা আর চারটি চার হাঁকিয়েছেন তামিম।

১৯ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ১০৪/২।

বোল্ড হয়েও বেঁচে গেলেন তামিম

হার্দিক পান্ডিয়ার বলে ব্যাটের কানায় লেগে বোল্ড হয়েও বেঁচে গেছেন তামিম ইকবাল। ভারতীয় অলরাউন্ডারের সেই বলটি ছিল নো। ওই ওভারেই এর আগে ফ্রি-হিটে ক্যাচ দিয়েছিলেন বাঁহাতি উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান।

সৌম্য সরকার, সাব্বির রহমানের দ্রুত বিদায়ের পর নিজেকে আরও গুটিয়ে নিয়েছেন তামিম। আসার কিছুক্ষণ পর টানা তিন চার হাঁকানো মুশফিকুর রহিমকে বরারবরের মতোই শুরু থেকে মনে হচ্ছে থিতু।

ত্রয়োদশ ওভারে পঞ্চাশে গেছে বাংলাদেশের স্কোর।

১৩ ওভার শেষে দলের সংগ্রহ ৬৩/১। তামিমের রান ২২, মুশফিকের ১৩।
বাজে শটে সাব্বিরের বিদায়
আগের ১৩টি বল গেল ডট, সেই চাপেই ফিরে গেলেন সাব্বির রহমান। ভুবনেশ্বর কুমারের অফ স্টাম্পের অনেক বাইরের স্লোয়ার বলে চড়াও হতে গিয়ে ক্যাচ দেন পয়েন্টে।

২১ বলে চারটি চারে সাব্বিরের রান ১৯।

৭ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ৩১/২। ৭ রান করা তামিম ইকবালের সঙ্গে উইকেটে যোগ দিয়েছেন মুশফিকুর রহিম।

আত্মবিশ্বাসী সাব্বির, সতর্ক তামিম

চার হাঁকিয়ে শুরু করা সাব্বির রহমান খেলছেন সহজতা আক্রমণাত্মক ক্রিকেট। জাসপ্রিত বুমরাহ ও ভুবনেশ্বর কুমারকে হাঁকিয়েছেন দুটি করে চার। তৃতীয় ওভারে ভুবনেশ্বরকে এগিয়ে এসে যে বাউন্ডারি মেরেছেন সেটাই বুঝিয়ে দিয়েছে কতটা আত্মবিশ্বাস ডানহাতি এই বিস্ফোরক ব্যাটসম্যান।

শুরুতেই সৌম্য সরকারের বিদায়ে নিজেকে গুটিয়ে রেখেছেন তামিম ইকবাল। প্রথম ৬ ওভারে তার ব্যাট থেকে এসেছে মোটে একটি চার।

৬ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ৩১/১। তামিমের রান ৭, সাব্বিরের ১৯।

শুরুতেই ফিরলেন সৌম্য

প্রথম ওভারেই উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ। ভুবনেশ্বর কুমারের বাইরের বল স্টাম্পে টেনে এনেছেন সৌম্য সরকার। ঠিকঠাক ড্রাইভ করতে না পারার মাশুল দিয়েছেন দুই বলে শূন্য রানে বোল্ড হয়ে।

১ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ১/১।
খেলা শুরু হতে ১০ মিনিট দেরি
বৃষ্টির বাধায় বাংলাদেশ-ভারতের দ্বিতীয় সেমি-ফাইনাল নির্ধারিত সময়ের ১০ মিনিট পর স্থানীয় সময় সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে শুরু হবে। টসের পর শুরু হওয়া বৃষ্টি থেমেছে। সরানো হচ্ছে কাভার।

অপরিবর্তিত ভারত দল

বাংলাদেশের মতো পরিবর্তন আসেনি ভারত দলেও। দুই স্পিনার ও হার্দিক পান্ডিয়াসহ তিন পেসার নিয়ে খেলছে শিরোপাধারীরা।

ভারত দল: বিরাট কোহলি, শিখর ধাওয়ান, রোহিত শর্মা, যুবরাজ সিং, কেদার যাদব, মহেন্দ্র সিং ধোনি, হার্দিক পান্ডিয়া, রবীন্দ্র জাদেজা, রবিচন্দ্রন অশ্বিন, ভুবনেশ্বর কুমার, জাসপ্রিত বুমরাহ।

বাংলাদেশ দল: মাশরাফি বিন মুর্তজা, তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার, সাব্বির রহমান, মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান, মাহমুদউল্লাহ, মোসাদ্দেক হোসেন, রুবেল হোসেন, তাসকিন আহমেদ, মুস্তাফিজুর রহমান।

টস হেরে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ

দ্বিতীয় সেমি-ফাইনালে টস হেরে ফিল্ডিং নিয়েছে ভারত। আকাশ ঘন মেঘে ঢাকা। টস জেতার পর স্বাভাবিকভাবেই বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছেন অধিনায়ক বিরাট কোহলি।

টস জিতলে ফিল্ডিং নিতেন মাশরাফি বিন মুর্তজাও।

এ জাতীয় আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2023 Mohajog