1. sardardhaka@yahoo.com : adminmoha : Sardar Dhaka
  2. nafij.moon@gmail.com : Nafij Moon : Nafij Moon
  3. rafiqul@mohajog.com : Rafiqul Islam : Rafiqul Islam
  4. sardar@mohajog.com : Shahjahan Sardar : Shahjahan Sardar
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০১:০৫ অপরাহ্ন

বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সাড়ে ৬ লাখ মানুষ

মহাযুগ নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ১২ জুলাই, ২০১৭
  • ১৫৬ বার

প্রতিবেদক :  দেশের ১৩ জেলার সাড়ে ছয় লাখ মানুষ চলমান বন্যার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া। ত্রাণসামগ্রীর ‘অভাব নেই’ জানিয়ে ‘বন্যা নিয়ে রাজনীতি’ না করে দলমত নির্বিশেষে সবাইকে দুর্গতদের পাশে দাঁড়ানোর অনুরোধ করেছেন তিনি।

উজানের ঢল ও ভারি বর্ষণে দেশের উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় চলতি মাসের শুরু থেকে বন্যা চলছে। সব মিলিয়ে মোট ৪৫ উপজেলায় কয়েক লাখ মানুষ এখন পানিবন্দি।

বাড়ি-ঘর ডুবে যাওয়ায় অনেকে নিরাশ্রয় হয়ে পড়েছেন। পানি ওঠায় বন্ধ রাখা হয়েছে কয়েকশ বিদ্যালয়।

এর মধ্যে আরও কয়েকদিন ভারি বর্ষণের আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর; ফলে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটতে পারে।

বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে বুধবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী মায়া বলেন, সিলেট, মৌলভীবাজার, কক্সবাজার, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, লালমনিরহাট, নীলফামারী, বগুড়া, জামালপুর, সিরাজগঞ্জ জেলা বর্তমানে বন্যা কবলিত। উত্তরের পানি মধ্যাঞ্চলে নেমে এলে আরও নতুন জেলা প্লাবিত হতে পারে।

মঙ্গলবার পর্যন্ত দেশের নয়টি নদীর পানি ১৭টি পয়েন্টে বিপৎসীমার উপর দিয়ে বইছিল। এসব নদীর মোট ৫৫টি পয়েন্টে পানি বাড়ার প্রবণতা অব্যাহত ছিল।

মায়া বলেন, “উজানের দেশ চীন, ভারত, নেপাল ও ভুটানে এবার বন্যা হয়েছে। … ভাটির দেশ হিসেবে উজানের প্রভাব আমাদের ওপর পড়বে। তার আলোকে আমরা প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করে বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলা করছি এবং মানুষের জন্য সহনশীল অবস্থায় রাখতে সক্ষম হয়েছি।”

বন্যা কবলিত ১৩ জেলায় গত ৩ থেকে ১১ জুলাই পর্যন্ত ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে চার হাজার মেট্রিক টন চাল, এক কোটি নয় লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং নয় ধরনের শুকনো খাবারের সমন্বয়ে সাড়ে ১৮ হাজার প্যাকেট খাবার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী।

“দুর্গত ১৩ জেলার ৪৫ উপজেলায় সাড়ে ছয় লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরা জেলা প্রশাসকদের বলেছি, তাদের চাহিদা মত খাদ্যশস্য ও আর্থিক বরাদ্দ দেওয়া হবে। একটি লোকও যাতে খাবারের কারণে কষ্ট না পায় সেজন্য জেলা প্রশাসনকে সর্বাত্মকভাবে চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।”

মন্ত্রী বলেন, যারা খোলা আকাশের নিচে, উঁচু বাঁধে বা রাস্তায় আশ্রয় নিয়েছেন তাদের আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রে খাবার, বিশুদ্ধ পানি ও চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে। স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে।

“জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের অনুরোধ জানাব, তারা যেন বন্যা প্লাবিত এলাকার টিউবওয়েলগুলো উঁচু করে দিয়ে এবং পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট দিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ান।”

বৃহস্পতিবার থেকে উত্তরাঞ্চলের বন্যা প্লাবিত প্রত্যেকটি এলাকা সফর করবেন জানিয়ে মায়া বলেন, “সংসদ সদস্যদের অনুরোধ করব নিজ নিজ এলাকা সফর করে বন্যা প্লাবিত মানুষের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করতে, আমাদের ত্রাণসামগ্রীর কোনো অভাব নেই।

আর বিএনপি নেতাদের উদ্দেশ্যে তার বক্তব্য- “বন্যা নিয়ে রাজনীতি না করে আমি দলমত নির্বিশেষে সবাইকে আহ্বান জানাব- আসুন আমরা বন্যা প্লাবিত মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে নিজেদের মানবিক কর্তব্য পালন করি।”

মায়া বলেন, সরকার প্রত্যেক জেলার বন্যা পরিস্থিতি সতর্কতার সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিয়মিত বন্যা ও ত্রাণ কার্যক্রমের খোঁজ-খবর নিচ্ছেন, প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন।

“প্রতিদিন প্রতি জেলার ক্ষয়ক্ষতি, ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম, আশ্রয়কেন্দ্রে আসা মানুষের পরিস্থিতি নিয়ে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ রাখছি।”

এক প্রশ্নের জবাবে মায়া বলেন, সিলেট ও মৌলভীবাজারে ৩২টি আশ্রয়কেন্দ্রে এক হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। উত্তরাঞ্চলেও আশ্রয়কেন্দ্র খোলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

“এবার বন্যা হবে ধরে নিয়ে আমাদের প্রস্তুতি ছিল। প্রত্যেক জেলায় প্রচুর ত্রাণ সামগ্রী মজুদ রয়েছে। এবার ৯৮ হাজার শুকনা খাবারের প্যাকেট তৈরি করে রেখেছি। কেউ আশ্রয়কেন্দ্রে উঠলে যেন তাৎক্ষণিকভাবে খাবারের চিন্তা করতে না হয়।”

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ সচিব শাহ কামাল ছাড়াও মন্ত্রণালয়ের অন্য কর্মকর্তারা সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।

এ জাতীয় আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2023 Mohajog