২৫ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অপহৃত ছাত্রীর সঙ্গে তার স্বামী সোহেল রানার বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। বিয়ের আট মাস পর মেয়ে বাধ্য হয়ে তাকে তালাক নামা পাঠায়।
রবিবার এ তথ্য জানিয়েছেন, অপহৃত রাবি ছাত্রীর বাবা। আরএমপির সদর দপ্তরে পুলিশের সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন তিনি। সংবাদ সম্মেলন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অপহৃত ছাত্রীর বাবা জানান, বিয়ের ১৬ দিনের মাথায় সোহেল রানা ২৫ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে। এ নিয়ে কয়েক দফায় দুই পরিবারের মধ্যে দেন দরবার হয়।
সর্বশেষ সোহেলের পরিবারের সদস্যরা জানায় একটি হাইস মাইক্রোবাস কেনে দেন। এ ছাড়া সোহেলকে মানানো যাচ্ছে না। এর পর তারা বিবাহ বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
অপহৃত ছাত্রীর বাবা আরও জানান, সোহেল রানা মাদকাসক্ত। যৌতুকের টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় তার মেয়ে নির্যাতনের শিকার হয়। বিবাহ বিচ্ছেদের পর থেকে সোহেল রানা মুঠোফোনে তার মেয়েকে বিরক্ত করতো এবং হুমকি দিতো। এ বিষয়টি তার পরিবারের সদস্যদেরও জানানো হয়েছিল বলে জানান তিনি।
গত শুক্রবার সকাল ৮টা ২০ মিনিটের দিকে রাবি ক্যাম্পাসের তাপসী রাবেয়া হলের সামনে থেকে ওই ছাত্রীকে অপহরণ করে একটি মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায় তার সাবেক স্বামী সোহেল রানা। এ ঘটনায় ওই দিনই অপহৃত ছাত্রীর বাবা পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে ৮/১০ জনের বিরুদ্ধে মতিহার থানায় মামলা করে। এ মামলায় ওইদিন সন্ধ্যায় পত্নীতলা সরদারপাড়া থেকে সোহেলের বাবা জয়নাল আবেদিনকে গ্রেপ্তার করে।
এর পর শনিবার দুপুরে ঢাকার রায়ের বাজার এলাকার একটি কাজী অফিস থেকে অপহৃত ছাত্রীকে উদ্ধার করে পুলিশ। এসময় আটক করা হয় অপহরণকারী সোহেলকে। এর আগে পুলিশ অপহরণে ব্যবহৃত মাইক্রোবাস উদ্ধার ও এর চালককে আটক করা হয়। তার দেয়া তথ্যেই অপহৃত ছাত্রীকে উদ্ধার ও সোহেলকে আটক করা হয়েছে।