1. sardardhaka@yahoo.com : adminmoha : Sardar Dhaka
  2. nafij.moon@gmail.com : Nafij Moon : Nafij Moon
  3. rafiqul@mohajog.com : Rafiqul Islam : Rafiqul Islam
  4. sardar@mohajog.com : Shahjahan Sardar : Shahjahan Sardar
বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:০২ পূর্বাহ্ন

সিলেটের জৈন্তাপুরে ওয়াজে সুন্নি-ওহাবি সংঘর্ষে নিহত ১

মহাযুগ নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮
  • ৩৫৫ বার

সিলেটের জৈন্তাপুরে ওয়াজ মাহফিল বন্ধ করা নিয়ে সুন্নি ও ওহাবি নামে দুটি ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া উভয়পক্ষে অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন।

সোমবার রাত ১১টার দিকে উপজেলার বাংলাবাজার আমবাড়ি এলাকায় এ সংঘর্ষ শুরু হয়। পরে মঙ্গলবার ভোর পর্যন্ত দফায় দফায় সংঘর্ষ চলে।

নিহতদের মধ্যে মোজাম্মিল হোসেন (২৫) নামে এক তরুণ ঘটনাস্থলেই মারা যান। তিনি উপজেলার হরিপুর ক্বওমী মাদ্রাসার দাওরায়ে হাদিসের ছাত্র। তার বাড়ি গোয়াইনঘাট উপজেলার ডৌবাড়ি এলাকায়। আহতদের মধ্যে ৩০ জন একই হাসপাতালে ভর্তি আছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আমবাড়ি এলাকায় একটি ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করে ওহাবি সম্প্রদায়।

এ সংবাদ পেয়ে সুন্নি সম্প্রদায়ের লোকেরা ওই ওয়াজ বন্ধ করতে যায়। এ নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়।

একপর্যায়ে তারা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এ সময় ওয়াজে আগত শত শত মুসল্লি আতঙ্কিত হয়ে দিক-বেদিক ছোটাছুটি করতে থাকেন।

প্রথম দফা সংঘর্ষে ওহাবি পক্ষ সুন্নি সম্প্রদায়ের মুসল্লিদের মারপিট করে তাড়িয়ে দেয়। এ সময় সুন্নি পক্ষের মাদ্রাসাছাত্র মোজাম্মিল ঘটনাস্থলে নিহত হন।

পরে এ সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে দ্বিতীয় দফায় হামলা চালায় সুন্নি সম্প্রদায়ের মুসল্লিরা। তখন ওহাবিপক্ষের লোকেরা স্থানীয় বিভিন্ন বাসাবাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নিলে সুন্নিরা সেখানেও হামলা চালান।

বিক্ষুব্ধ সুন্নিরা চারটি গ্রামে জ্বালাও-পোড়াও, ভাঙচুর চালান। এভাবে মঙ্গলবার ভোর পর্যন্ত সহিংসতা চলে।

পরে জৈন্তাপুর মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থানীয় এলাকার চেয়ারম্যান ও মাতব্বরদের সহযোগিতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এদিকে সংঘর্ষের জের ধরে রাত ২টায় স্থানীয় মুসল্লিরা সিলেট-তামাবিল সড়ক অবরোধ করেন। এর প্রতিবাদে সিলেট নগরীতে বিক্ষোভ মিছিল করে কাজিরবাজার মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষকরা।

এ বিষয়ে জৈন্তাপুর থানার ওসি খাঁন মো. মঈনুল জাকির যুগান্তরকে বলেন, সংঘর্ষে প্রথমে দু’জন নিহতের খবর পাওয়া যায়। এরপর হাসপাতালে গিয়ে এক মাদ্রাসা ছাত্রের মৃত্যুর সত্যতা পাওয়া যায়। এতে অর্ধশতাধিক লোকজন আহত হয়েছেন। এখন পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে আছে। উপজেলার আনাচে-কানাচে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

ওই এলাকায় কোনো ওয়াজ মাহফিল বা বির্তকের জন্য পুলিশের অনুমতি নেয়া হয়নি। এমনকি অবগতও করা হয়নি বলে জানান ওসি।

এ জাতীয় আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2023 Mohajog