সাবেক শিষ্য ও সহকর্মীদের সঙ্গে অতীত স্মৃতি রোমন্থন করতে আজ সন্ধ্যায় ঢাকায় আসছেন বাংলাদেশকে আইসিসি ট্রফি জেতানো কোচ গর্ডন গ্রিনিজ।
১৯৯৭ সালে বাংলাদেশের আইসিসি ট্রফি জয়ের নেপথ্যের নায়ক পাঁচদিনের সফরে রবিবার রাত ৯ থেকে সাড়ে ৯টার মধ্যে মালয়েশিয়া থেকে ঢাকায় এসে পৌঁছাবেন।
অতীত স্মৃতি রোমন্থনের পাশাপাশি তিনি বাংলাদেশকে নিয়ে তার আশা ও স্বপ্নের কথাও তিনি। আগামীকাল সন্ধ্যা ৭টায় সোনারগাঁও হোটেলে বিসিবি আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। সেখানে সাবেক ও বর্তমান ক্রিকেটার এবং বিসিবি কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন।
বাংলাদেশে আসার আগ্রহটা তার নিজে থেকেই। ব্যক্তিগত কাজে গ্রিনিজ বর্তমানে মালয়েশিয়াতে অবস্থান করছেন। সেখানে তার সঙ্গে দেখা হয়েছিল এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের সাবেক সিইও সৈয়দ আশরাফুল হকের। তার কাছে গ্রিনিজ বাংলাদেশ সফরের আগ্রহের কথা জানালে আশরাফুল হক বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসানের সঙ্গে আলোচনা করেন।
বিসিবি পরিচালক এনায়েত হোসেন সিরাজ বলেন, ‘বাংলাদেশে আসার আগ্রহ গ্রিনিজই দেখিয়েছেন। খুবই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে তিনি বাংলাদেশ দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ১৯৯৭-১৯৯৯ সাল পর্যন্ত যারা বাংলাদেশের হয়ে খেলেছেন এবং দলের আশপাশে ছিলেন তাদের সঙ্গে তিনি দেখা করতে চান। তার আগ্রহে আমরাও সাড়া দিয়েছি।’
১৯৯৬ সালে মালয়েশিয়ায় এসিসি ট্রফিতে চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশ। এরপরই বিশ্বকাপে খেলার লক্ষ্যে বাংলাদেশের কোচ হিসেবে আনা হয় গ্রিনিজকে। তিনিও প্রথমবার কোনো জাতীয় দলে কোচের দায়িত্ব নেন। তার হাত ধরেই যেন বদলে যায় বাংলাদেশ। ১৯৯৭ সালে মালয়েশিয়ায় আইসিসির ট্রফি জয়ের পর গ্রিনিজকে বাংলাদেশের সম্মানসূচক নাগরিকত্বও দেয়া হয়।
কিন্তু এত বড় সাফল্য এনে দেয়ার পরও শেষটা সুখকর ছিল না গ্রিনিজের। ১৯৯৯ বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে জয়ের কয়েকঘণ্টা আগেই তাকে কোচের পদ থেকে বরখাস্ত করা হয়। বিসিবির কর্তাদের সঙ্গে তার টানাপোড়েন চলছিল তার আগে থেকেই।
তবে বরখাস্ত হওয়ার পরও পাকিস্তানের বিপক্ষে জয়ের পর বাংলাদেশ দলকে অভিনন্দন জানান ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান। এত কিছুর পরও তিনি বাংলাদেশকে ভোলেননি। বিসিবির আমন্ত্রণে বাংলাদেশের অভিষেক টেস্ট দেখতে বাংলাদেশের পাসপোর্ট নিয়েই তিনি বাংলাদেশে এসেছিলেন।
এরপর ২০০১ সালে বাংলাদেশ ‘এ’ দল ওয়েস্ট ইন্ডিজে বুস্টা কাপে খেলতে গেলে বার্বাডোজে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে অভ্যর্থনা দিয়েছিলেন গ্রিনিজ।