সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আসন্ন ঈদযাত্রা হয়তো ভোগান্তিমুক্ত হবে না তবে তা সহনীয় পর্যায়ে থাকবে। মন্ত্রী মঙ্গলবার মহাসড়কের মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া অংশের মেঘনা সেতু সংলগ্ন জামালদিতে ব্রিজ কর্তৃপক্ষের অস্থায়ী কার্যালয়ে আসন্ন ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করা ও টোল প্লাজা ব্যবস্থাপনা নিয়ে সংশ্লিষ্ট স্টেক-হোল্ডারদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন।
রাজধানী ঢাকার সঙ্গে দেশের বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রামের সড়ক পথে যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক। আমদানী-রপ্তানি বাণিজ্য, পণ্য পরিবহন ছাড়াও দেশের লাইফ লাইনখ্যাত এই মহাসড়ক দিয়ে যাতায়াত করে দেশের প্রায় ১৭ জেলার মানুষ। তবে গত কয়েক মাসের ধারাবাহিক যানজটে কার্যত অচল হয়ে পড়া এই মহাসড়কের যানজটের তীব্রতা এবার সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। ঈদ আসন্ন হওয়ায় যানজট নিয়ে চিন্তিত যাত্রীরা। আর প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে স্বাভাবিক থাকবে পরিস্থিতি।
এমতাবস্থায় মঙ্গলবার সকালে মহাসড়কের সার্বিক অবস্থা পরিদর্শণে আসেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এ সময় মহাসড়কের মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া অংশের মেঘনা সেতু এলাকায় আসন্ন ঈদ যাত্রা নির্বিঘ্ন করা ও টোল প্লাজা ব্যবস্থাপনা নিয়ে সংশ্লিষ্ট স্টেক-হোল্ডারদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেন তিনি। মন্ত্রী বলেন, আসন্ন ঈদযাত্রা হয়তো ভোগান্তিমুক্ত হবে না তবে তা সহনীয় পর্যায়ে থাকবে।
এ সময় তিনি আরো বলেন, আগামী ঈদে ভাঙ্গা রাস্তার জন্য যাতে ঘরমুখো মানুষের ভোগান্তি না হয় সেজন্য জুন মাসের ৮ তারিখের মধ্যে রাস্তা মেরামতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দরকার হলে দিনের পাশাপাশি সারারাতও মেরামত কাজ চলবে।
এক্সেল লোড স্টেশনের দুর্নীতির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ঈদের সময় টোল সংক্রান্ত ভোগান্তি বা দুর্নীতির তথ্য পেলে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়াও ঈদের আগের চারদিন আর পরের চারদিন ২৪ ঘণ্টা সিএনজি স্টেশন চালু থাকবে। আর উল্টা পথে ভিআইপি এলে তাদেরও আটকে দেবার পরামর্শ দেন তিনি।
এর আগে তিনি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের গজারিয়া অংশ পরিদর্শন করেন। এ সময় সংসদ সদস্য নাসিম ওসমান, সংসদ সদস্য লিয়াকত আলী খোকা, সংসদ সদস্য সুবিদ আলী ভূইয়া, সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবুসহ নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ ও কুমিল্লার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কর্মকতারা উপস্থিত ছিলেন।