1. sardardhaka@yahoo.com : adminmoha : Sardar Dhaka
  2. nafij.moon@gmail.com : Nafij Moon : Nafij Moon
  3. rafiqul@mohajog.com : Rafiqul Islam : Rafiqul Islam
  4. sardar@mohajog.com : Shahjahan Sardar : Shahjahan Sardar
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১০:১২ পূর্বাহ্ন

রাশিয়া বিশ্বকাপের ফাইনাল যে কারণে ব্যতিক্রম

মহাযুগ নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ১৬ জুলাই, ২০১৮
  • ২৪৬ বার

এবারের বিশ্বকাপ ফুটবলের ফাইনাল ম্যাচটি ছিল এমন এক ধরনের ম্যাচ যেখানে সবকিছু্‌ ছিল। বিতর্কিত সিদ্ধান্ত, মাঠে দর্শক ঢুকে পড়া, ফাইনাল ম্যাচে প্রথম আত্মঘাতী গোল।

পেলের পর দ্বিতীয় সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে একজনের গোল এবং গোল রক্ষকের হাস্যকর ভুলের জন্য একটি গোল – এসব কিছুই হয়েছে ফাইনাল ম্যাচে।

স্মরণীয় এ ম্যাচে ফ্রান্স ৪-২ গোলে ক্রোয়েশিয়াকে হারিয়ে বিশ্ব ফুটবলের চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।
অনেক গোল হওয়া

ফাইনাল ম্যাচে সর্বমোট ছয়টি গোল হয়েছে।

সাধারণত ফাইনাল ম্যাচে যে ধরনের উত্তেজনা এবং চাপ থাকে তাতে গোল কম হয়।

কিন্তু এবার সেটির ব্যতিক্রম দেখা গেল। সর্বশেষ ১৯৯৮ সালের বিশ্বকাপ ফুটবলের ফাইনাল ম্যাচে দুটির বেশি গোল হয়েছিল।

১৯৫৮ সালের বিশ্বকাপ ফুটবলের ফাইনালে সর্বমোট সাতটি গোল হয়েছিল।

সেবার ব্রাজিল ৫-২ গোলে সুইডেনকে হারিয়েছে।

ইংল্যান্ডের সাবেক ডিফেন্ডার রিও ফার্ডিনান্ড বিবিসি ওয়ানকে বলেছেন, সাধারণত এ ধরনের ম্যাচ একঘেয়ে দাবা খেলার মতো হয়।

কিন্তু এবারের ফাইনাল সে রকম ছিল না। ক্রোয়েশিয়া যেভাবে ফ্রান্সকে আক্রমণ করেছে তাদের তারা প্রশংসার দাবিদার বলে তিনি উল্লেখ করেন।
ভিএআর নিয়ে বিতর্ক

এ বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো রেফারিদের সহায়তা করার জন্য ভিডিও প্রযুক্তির ব্যবহার করা হয়েছে, যেটিকে ভিএআর বলা হয়।

গ্রুপ পর্যায়ে এ প্রযুক্তির ব্যবহার করা হলেও নক পর্যায়ে এটি তেমন একটা ব্যবহার করা হয়নি।

কিন্তু ফাইনাল ম্যাচে ফ্রান্সকে পেনাল্টি দেবার জন্য ভিএআর ব্যবহার করা হয়েছে।

ফ্রান্সের কর্নার থেকে ক্রোয়েশিয়ার ইভান পেরিসিচ-এর হাতে যখন বল লাগে তখন রেফারি তাৎক্ষনিক-ভাবে পেনাল্টি দেননি।

কিন্তু ভিডিও অ্যাসিসটেন্স রেফারির সাথে দীর্ঘক্ষণ আলাপের পর তিনি নিজেই ভিডিও দেখতে মাঠের বাইরে যান এবং এরপর পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দেন। এ পেনাল্টি নিয়ে বিতর্ক রয়েছে।

ইংল্যান্ডের সাবেক খেলোয়াড় অ্যালান শিয়েরার মনে করেন এটা একটা ‘হাস্যকর সিদ্ধান্ত’ কারণ ক্রোয়েশিয়ার ইভান পেরিসিচ ইচ্ছাকৃত হ্যান্ডবল করেননি।

পেনাল্টি দেবার বিষয়টিকে ‘হাস্যকর সিদ্ধান্ত’ হিসেবে দেখছেন আরেকজন ফুটবল বিশ্লেষক এবং ইংল্যান্ডের সাবেক খেলোয়াড় রিও ফার্ডিনান্ড।

এ সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে জার্মানির সাবেক খেলোয়াড় এবং কোচ ইউর্গেন ক্লিন্সম্যান বলেন, আপনি যখন নিশ্চিত হতে পারছেন না, তখন এটা আপনার দেয়া উচিত নয়। এটা ভুল সিদ্ধান্ত।
ফাইনাল ম্যাচে প্রথম আত্মঘাতী গোল

এবারের বিশ্বকাপ আসরে সর্বমোট ১২টি আত্মঘাতী গোল হয়েছে।

এর মধ্যে ফাইনাল ম্যাচে হয়েছে একটি।

ফ্রান্সের অ্যান্টনি গ্রিজম্যানের ফ্রি-কিক থেকে ক্রোয়েশিয়ার মারিও মানজুকিচের মাথায় লেগে ক্রোয়েশিয়ার জালে বল প্রবেশ করে।

বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচে এটিই প্রথম আত্মঘাতী গোল।
পেলের পর ফাইনাল ম্যাচে সর্বকনিষ্ঠ গোলদাতা

ব্রাজিলের ফুটবল কিংবদন্তী পেলের পর ফ্রান্সের কিলিয়ান এমবাপে হচ্ছেন দ্বিতীয় ব্যক্তি যিনি সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে বিশ্বকাপ ফুটবলের ফাইনালে গোল দিয়েছেন।

এবারের বিশ্বকাপের আসরে এমবাপের খেলা সবার নজর কেড়েছে।

দ্বিতীয় রাউন্ডে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে দুই গোল করেছিলেন এমবাপে। সব মিলিয়ে এবারের আসরে এমবাপে চারটি গোল করেছেন।
গোল রক্ষকের অদ্ভুত ভুল

ফ্রানেসর গোলরক্ষক হুগো লরিস-এর ভুলের কারণে ক্রোয়েশিয়া একটি গোল পেয়েছে।

ডিফেন্ডার স্যামুয়েল যখন গোল রক্ষকের কাছে বল দেন তখন তার পেছনে অনেক দূর থেকেই ছুটে যান ক্রোয়েশিয়ার মানজুকিচ।

বলটি দ্রুত মাঝ মাঠ ঠেলে না দিয়ে ফ্রান্সের গোলরক্ষক হুগো লরিস খুব আয়েশি ভঙ্গিতে মানজুকিচকে পাশ কাটিয়ে যেতে চান। কিন্তু সেটি সম্ভব হয়নি।

ক্রোয়েশিয়ার মানজুকিচের পায়ে বল লেগে সেটি ফ্রান্সের জালে ঢুকে যায়।
মাঠের ভেতরে লোক ঢুকে পড়া

রাশিয়ায় বিশ্বকাপের আয়োজন নিয়ে নানা উদ্বেগ ছিল। সম্ভাব্য বর্ণবাদ, গুণ্ডামি এবং সমকামীদের উপর সহিংসতার আশঙ্কা ছিল।

কিন্তু এসব ক্ষেত্রে কিছুই হয়নি এবং পুরো আয়োজন বেশ ভালোভাবেই গেছে।

শুধু ফাইনাল ম্যাচে কয়েকজন দর্শক মাঠে আচমকা মাঠে ঢুকে যায় এবং খেলাও বন্ধ হয়ে যায়।

রাশিয়ার রক গ্রুপ পাসি রায়ট বলছে তারা একাজ করেছে।

রাশিয়ার কিছু রাজনৈতিক ইস্যুতে প্রতিবাদ করতেই তারা এটি করেছে বলে দাবি করে।

তবে নিরাপত্তা কর্মীরা দ্রুত তাদের মাঠ থেকে সরিয়ে নেয়। তবে দুই দলের কয়েকজন খেলোয়াড়দের সাথে মাঠে প্রবেশ করা ব্যক্তিদের হাতাহাতি হয়।

সূত্র: বিবিসি

এ জাতীয় আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2023 Mohajog