বিশেষায়িত হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য কারাবন্দি খালেদা জিয়ার রিটের শুনানি হচ্ছে না আজ। এ তথ্য জানিয়েছেন খালেদা জিয়ার আইনজীবী কায়সার কামাল।
এর আগে কারাবন্দী বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে বিশেষায়িত বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা সুবিধা চেয়ে রবিবার হাইকোর্টে রিট করেন তার আইনজীবীরা।
হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ থেকে অনুমতি নিয়ে রবিবার তার আইনজীবী কায়সার কামাল রিটটি দায়ের করেন বলে জানান। আজ সোমবার রিটের শুনানি হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি।
রিটকারী ইনজীবী কায়সার কামাল সাংবাদিকদের জানান, ইউনাইটেড বা খালেদা জিয়ার পছ্ন্দমত বিশেষায়িত হাসপাতালে তাকে চিকিৎসাসেবা দেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে রিটটি দায়ের করা হয়েছে। পাশাপাশি খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য একটি বিশেষ বোর্ড গঠন এবং এখন পর্যন্ত তার চিকিৎসাসেবা-সংক্রান্ত যাবতীয় নথিপত্র দাখিলের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে রিটে। সোমবার বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি শেখ আহমেদ সোহেলের সমন্বয়ে হাইকোর্ট বেঞ্চে শুনানি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও আদালত জানিয়েছে পরবর্তীতে শুনানি হবে।
খালেদা জিয়াকে যথাযথ চিকিৎসাসেবা না দেওয়া সংবিধানের ৩২ ও ৩৫ (৫)-এর পরপন্থী—এমন যুক্তিতে রিটটি করা হয়েছে বলে জানান আইনজীবীরা।
খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসার ব্যবস্থা নিশ্চিতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি হবে না, তা জানতে রিট আবেদনে রুল চাওয়া হয়েছে।
স্বরাষ্ট্রসচিব, আইজি (প্রিজন), ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সুপারসহ সাতজনকে রিটে বিবাদী করা হয়েছে।
কায়সাল কামাল বলেন, ‘গত ৫ সেপ্টেম্বর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় দুর্নীতি দমন কমিশনের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল দাবি করেন, খালেদা জিয়া অসুস্থ। এ জন্য আদালত কারাগারে বসানো হয়েছে। এতে সরকার কর্তৃক স্বীকৃত হয় যে খালেদা জিয়া অসুস্থ। খালেদা জিয়া নিজেও ৫ সেপ্টেম্বর আদালতে বলেছেন, তার হাত-পা প্যারালাইজড হয়ে যাচ্ছে। তিনি গুরুতর অসুস্থ। এ কারণে ওনার পছন্দমতো হাসপাতালে চিকিৎসার নির্দেশনা দিতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আমাকে রিট করার দায়িত্ব দিয়েছেন।