২০১৯ সালে ইসরাইলে অনুষ্ঠিতব্য ‘ইউরোভিশন’ নামের একটি গানের অনুষ্ঠানকে বিশ্বের অন্তত ১৪০ জন শিল্পী বয়কট করার আহ্বান জানিয়েছেন।
সংবাদ মাধ্যম দ্যা গার্ডিয়ান ইসরাইলে অনুষ্ঠিতব্য গানের অনুষ্ঠানটি বয়কট করে লিখা ১৪০ জন শিল্পীর স্বাক্ষর করা একটি চিঠি প্রকাশ করেছে যাতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের গায়ক, লেখক, অভিনেতা, পরিচালক, সাহিত্যিকদের স্বাক্ষর রয়েছ। ‘যদি ইসরাইল ফিলিস্তিনের জনগণের উপর দশকের পর দশক ধরে চলমান অত্যাচার বন্ধ না করে তবে আমরা দেশটিতে অনুষ্ঠিতব্য ‘ইউরোভিশন’ নামের গানের অনুষ্ঠান বয়কট করার আহ্বান জানাচ্ছি।’ দ্যা গার্ডিয়ানের প্রকাশ করা চিঠিতে এমনটি জানানো হয়।
এই ১৪০ জন শিল্পীর মধ্যে ইসরাইলের ৬ জন শিল্পী রয়েছেন যাদের নাম যথাক্রমে- আভিয়াদ আলবার্ট, মাইকেল সাপির, ওহাল গ্রিয়েটজার, ইয়োনাটান শাপিরা, ডেনিয়েল রাভিটজকি এবং ডেভিড ওপ।
‘আমরা নিম্ন স্বাক্ষরকারী ইউরোপ এবং অন্যান্য দেশের শিল্পীবৃন্দ, আমাদের ফিলিস্তিনিসহ শিল্পীদের হৃদয়ের সাথে একাত্মা জানিয়ে ২০১৯ সালে ইসরাইলে অনুষ্ঠিতব্য ‘ইউরোভিশন’ গানের প্রতিযোগিতাকে বয়কট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’-চিঠিটিতে এমনটি জানানো হয়।
চিঠিটিতে আরো জানানো হয়, ‘যতদিন পর্যন্ত ইসরাইল রাষ্ট্রটি ফিলিস্তিনি জনগণের স্বাধীনতা, ন্যায়বিচার এবং সমঅধিকার লঙ্ঘন করবে ততদিন আমরা রাষ্ট্রটিতে অনুষ্ঠিত কোনো ধরণের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে যোগদান করবো না।’
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের মে মাসের ১৪ তারিখে ইসরাইলি সেনারা গাজা উপত্যকায় বিক্ষোভরত ৬২ জন ফিলিস্তিনিকে গুলি করে হত্যা করে। নিহতদের মধ্যে ছয় জন শিশু ছিল।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ইসরাইলের এমন ন্যক্কারজনক হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানায়। হিউম্যান রাইট ওয়াচ ওই ঘটনাকে ‘বেআইনি এবং পূর্বপরিকল্পিত’ বলে আখ্যায়িত করে।
শিল্পীদের স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে আরও বলা হয়, ‘European Broadcasting Union এর উচিত অনুষ্ঠানটি ইসরাইল থেকে সরিয়ে অন্যকোনো দেশে নিয়ে যাওয়া।’।
এর পূর্বে ৭০ তম ‘নাকাবা’ দিবস উপলক্ষে পূর্ব গাজা উপত্যকার সীমান্তে হাজার হাজার ফিলিস্তিনি বিক্ষোভে প্রদর্শন করে। সাথে সাথে তারা যুক্তরাষ্ট্র তাদের এ্যাম্বাসীকে তেল আবিব থেকে জেরুজালেমে স্থানান্তরের বিরুদ্ধেও বিক্ষোভ পদর্শন করে।
চলতি বছরের ৩০শে মার্চ থেকে শুরু হওয়া ওই বিক্ষোভে ইসরাইলি সেনাদের গুলিতে এ পর্যন্ত অন্তত ১০০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়।
বিক্ষোভকারীদের লক্ষ করে গুলি চালিয়ে হত্যা করায় বিশ্বব্যাপী ইসরাইলের বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়। ইসরাইল যদিও এ বিক্ষোভকে ‘রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ’ বলে অবহিত করে কিন্তু তাদের এ ধরণের প্রচারণা আন্তর্জাতিক আইনের সাথে সামঞ্জস্যহীন।
সূত্রঃ আনাদালু নিউজ এজেন্সি।