1. sardardhaka@yahoo.com : adminmoha : Sardar Dhaka
  2. nafij.moon@gmail.com : Nafij Moon : Nafij Moon
  3. rafiqul@mohajog.com : Rafiqul Islam : Rafiqul Islam
  4. sardar@mohajog.com : Shahjahan Sardar : Shahjahan Sardar
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৩৭ অপরাহ্ন

এরশাদের সম্পত্তির ভাগ-বাটোয়ারা

মহাযুগ নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ২৬ জানুয়ারী, ২০১৯
  • ২২১ বার

সিঙ্গাপুরের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। দীর্ঘদিন সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থেকে গত ২০ জানুয়ারি উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে গেছেন সাবেক এই রাষ্ট্রপতি। জাতীয় পার্টির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য খালেদ আখতার, এরশাদের ছোট ভাই হুসেইন মোর্শেদ এবং মোর্শেদের স্ত্রী রুখসানা খান মোর্শেদও সিঙ্গাপুর গেছেন।

এদিকে ফেইসবুকে একটি পোস্টকে কেন্দ্র করে এরশাদের মৃত্যুর গুঞ্জন শুরু হয়। যদিও পরবর্তীতে জাতীয় পার্টির নেতা জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু বলেছেন, উনার অবস্থা আগের চেয়ে ভালো। ফেইসবুকের খবর সত্য নয়।

এসব কিছুর মধ্যেই এরশাদের সম্পত্তি ভাগ-বাটোয়ারা হয়েছে। ভাই-ভাতিজা এবং তার সন্তান শাদ এরশাদ, এরিক ও পালিত কন্যার মধ্যে এই সম্পদ ভাগ হয়েছে। কিছু সম্পত্তি পার্টির অফিস ও এতিমদের জন্য ট্রাস্টে দেওয়ার কথা রয়েছে। সিঙ্গাপুরে চিকিৎসার জন্য যাওয়ার আগেই এই ভাগ-বণ্টন সম্পন্ন হয়। এরশাদের পারিবারিক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেই অসুস্থ হয়ে পড়েন সাবেক রাষ্ট্রপতি এরশাদ। মনোনয়নপত্র জমাদানের পরপরই তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়া হয়। নির্বাচনের কয়েকদিন আগে তিনি দেশে ফিরে আসেন। তবে তখনও তিনি পুরোপুরি সুস্থ ছিলেন না। সিঙ্গাপুর থেকে এসেই তিনি ঢাকার সিএমএইচএ ভর্তি হন।

পারিবারিক সূত্র জানায়, এই সময়ের মধ্যে তার সম্পত্তি ভাগাভাগি হয়। এরশাদের সম্মতি ও ইচ্ছাতেই এই ভাগাভাগি হয়েছে। আর সম্পত্তি বণ্টণ হলে তার পরপরই তাকে আবার সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়া হয়। তিনি বর্তমানে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন।

দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, গুলশান-২ এর বাড়িটি রওশন এরশাদকে দিয়েছেন এরশাদ। বারিধারার ‘প্রেসিডেন্ট পার্ক’ যেখানে তিনি নিজে বসবাস করেন সেটি তার সাবেক স্ত্রী বিদিশা এরশাদের একমাত্র ছেলে এরিক এরশাদের নামে দেওয়া হয়েছে।

পালিত পুত্র আরমানকে দেওয়া হয়েছে গুলশানের অপর একটি ফ্ল্যাট। রংপুরের সম্পত্তি পেয়েছেন তার ভাই জিএম কাদের ও ভাতিজা আতিক শাহরিয়ার। রংপুরের জাতীয় পার্টি অফিসটি দলকে দান করেছেন এরশাদ।

ঢাকার কাকরাইলে জাতীয় পার্টির প্রধান কার্যালয়টি এরশাদের ব্যক্তিগত নামে ছিল। এটি তিনি পার্টিকে দান করেছেন। দলটির একাধিক প্রেসিডিয়াম সদস্যসহ অন্যান্য নেতাকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তারা জানান যে, এরশাদের গুলশান বনানী এলাকায় বিভিন্ন মার্কেটে দোকান রয়েছে। এগুলো সন্তান, ভাই, ভাতিজিদের মধ্যে সমবণ্টন করা হয়েছে।

এ সব বিষয় নিয়ে নাম-পরিচয় দিয়ে দল অথবা পরিবারের কেউ সরাসরি মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি। তারা পরিচয় গোপন রেখে বলেছেন, এরশাদের নগদ টাকাসহ সম্পত্তি কী কী আছে তা পরিষ্কারভাবে দলীয় নেতাকর্মীরা জানেন না।

গুলশান-বনানীতে যে দোকান রয়েছে সে বিষয়ে সবাই ওয়াকিবহাল। কিন্তু কোথায় কয়টা দোকান আছে তার হিসাব কারও কাছে নেই। এদিকে এরশাদের অসুস্থতা বাড়তে থাকলে তিনি এরিক এরশাদকে দেখাশোনা ও তার সম্পত্তি দেখাশুনার জন্য একজন ব্যারিস্টারকে লিখিতভাবে দায়িত্ব দিয়েছেন বলে জানা গেছে।

অপরদিকে বেগম রওশন এরশাদও বর্তমানে অসুস্থ। তার নামে থাকা সম্পত্তিগুলো তার পুত্র শাদ এরশাদ ও পালিত কন্যা জেবিনের নামে উইল করে দিয়েছেন বলে শোনা যাচ্ছে। তবে এ বিষয়টি নিশ্চিত করে কেউ বলেননি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দলের একজন ভাইস প্রেসিডেন্ট বলেন, এরশাদের রংপুরের সম্পত্তি ভাই-ভাতিজাদের মধ্যে বণ্টন হয়েছে। ঢাকার সম্পত্তি তার সন্তান, পালিত কন্যাদের মধ্যে ভাগ হয়েছে বলে জেনেছি।

এ জাতীয় আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2023 Mohajog