আসন্ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ক্যাম্পাসে সহাবস্থানের স্থায়ী সমাধানের পর ডাকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার দাবি জানিয়েছে ছাত্রদল।
গত ১১ ফেব্রুয়ারি ঘোষিত ডাকসু নির্বাচনের তফসিল বাদ দিয়ে পুনঃতফসিলের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ছাত্র সংগঠনটি।
বুধবার ঢাবির মধুর ক্যান্টিনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানায় ছাত্রদল। ছাত্রদলের পক্ষে কথা বলেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাজিব আহসান।
রাজিব আহসান বলেন, ১০ বছর পর আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছি। ইতোমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে আমরা আট দফা দাবি জানিয়েছি। এর প্রথমটি ছিল ক্যাম্পাস এবং হলে সহাবস্থান নিশ্চিত করতে হবে। আমরা প্রশাসন ও অন্যান্য ছাত্রসংগঠনের সাথে নিয়মিত কার্যক্রম চালিয়ে যেতে চাই। এই পদক্ষেপের অংশ হিসেবে মধুর ক্যান্টিনে এসেছি।
তিনি বলেন, আমরা দাবি জানিয়েছি ক্যাম্পাসে ন্যুনতম তিনমাস সহাবস্থানের পরে ডাকসু নির্বাচনের পরিবেশ নিশ্চিত হলেই ভোটগ্রহণ করা হোক। সামগ্রিক পরিবেশ নিশ্চিত হওয়ার পর নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হোক। এছাড়া ভোটকেন্দ্র হলের বাইরে নিয়ে আসার দাবিতে এখনো অটল আছি।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি তিনি সহাবস্থানের স্থায়ী সমাধানের জন্য এবং প্রার্থী হওয়ার ক্ষেত্রে যে সকল অগণতান্ত্রিক ধারা আছে তা বাতিলের দাবি জানান।
এদিকে, ছাত্রদলের সংবাদ সম্মেলন শেষে ছাত্রলীগের সঙ্গে কথা হয় সাংবাদিকদের। ছাত্রলীগের পক্ষে কথা বলেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন।
তিনি বলেন, ক্যাম্পাসে যে গণতান্ত্রিক পরিবেশ আছে সেটা আজকে প্রমাণ হয়ে গেছে। যার যার রাজনীতি সে করবে। ছাত্রলীগ কাউকে বাধা দেবে না।
নির্বাচনের প্যানেল নিয়ে তিনি বলেন, মনোনয়ন সংগ্রহের পরে ২৫-২৬ তারিখের মধ্যেই আমরা প্যানেল তৈরি করে ফেলব।
ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির বিষয়ে শোভন বলেন, আমরা দায়িত্ব নেয়ার পরে নিরাপদ সড়ক আন্দোলন, জাতীয় নির্বাচন ইত্যাদি থাকায় কেন্দ্রীয় কমিটি পূর্ণাঙ্গ করতে পারিনি। ডাকসু নির্বাচন উপলক্ষে আমরা প্রস্তুতি কমিটি করবো। সেখানে যারা ভালো করবে তাদের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, ভাইস প্রেসিডেন্ট, সাংগঠনিক সম্পাদক পদ দেয়া হবে।
এর আগে বেলা ১১টার দিকে ছাত্র রাজনীতির আতুড়ঘর নামে খ্যাত মধুর ক্যান্টিনে আসেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতারা। এরপরই ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্র ফেডারেশনসহ আরো কয়েকটি ছাত্র সংগঠন মধুর ক্যান্টিনে যায়। তবে সবার আগে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আসেন মধুর ক্যান্টিনে। ছাত্রদল নেতারা মধুতে এলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাদের দলীয় স্লোগান দিতে থাকেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীদের আগমনে সরগরম হয়ে ওঠে মধুর ক্যান্টিন।