৪৮ ঘন্টাই কাটেনি কাশ্মীরে ভারতীয় জওয়ানদের ওপর বোমা হামলার। পাল্টা জবাব দিতে এরই মধ্যে জোরদার মহড়ায় নেমে গেল ভারতীয় বিমান বাহিনী। রাজস্থানে পাকিস্তানের সীমান্ত সংলগ্ন পোখরানে বিমান বাহিনীর মহড়ায় অংশ নিয়েছে ১৪০টি যুদ্ধবিমান। শনিবার রাতের পোখরানের আকাশে শুধুই ছিল আলোর ঝলকানি।
ভারতীয় বিমান বাহিনীর প্রধান বিএস ধানোয়া বলেন, যুদ্ধ মহড়ায় নিজেদের ক্ষমতা দেখিয়েছি। শত্রুদের বোঝা উচিত, আমাদের তারা কখনওই হারাতে পারবে না। মহড়াটির নাম দেওয়া হয়েছে বায়ু শক্তি ২০১৯৷ সেখানে উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় সেনা প্রধান বিপিন রাওয়াতও।
এই মহড়ায়, একের পর এক বোমা ছুঁড়ে ফেলা হয় উঁচু থেকে পোখরানের মাটিতে। বিদ্যুৎ গতিতে উড়ে চলে মিগ, তেজস্ব, সুখোইয়ের মত যুদ্ধ বিমান। রয়েছে মিগ–২১, ২৭, ২৯ ছাড়াও জাগুয়ার, সুখোই, তেজস। বৃহস্পতিবারের হামলার পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সেনাবাহিনীকে পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন। পাশাপাশি ভারত পাকিস্তানকে একঘরে করে দিতেও সব ধরনের প্রচেষ্টা চালিয়ে চলেছে।
এই মহড়ায় লেজার প্রযুক্তির সাহায্যে বোমা নিক্ষেপ, রকেট লঞ্চারের ব্যবহার করা হয়েছে। এলসিএ তেজস, অ্যাডভান্সড লাইট হেলিকপ্টার, আকাশ (সারফেস টু এয়ার ক্ষেপণাস্ত্র), অ্যাস্ট্রা (এয়ার টু এয়ার মিসাইল)–সহ সুখোই-৩০-এর মতো বিমানও রণকৌশল দেখিয়েছে।
প্রথম বার অ্যাডভান্সড লাইট হেলিকপ্টার আকাশ (সারফেস টু এয়ার মিসাইল) সামরিক মহড়ায় অংশ নিল বলে জানা গিয়েছে। কর্মসূচির শেষে তেরঙা আলোয় রাঙিয়ে গিয়েছে পোখরান রেঞ্জ। বিশেষজ্ঞদের মতে, উপর মহল থেকে কোনও নির্দেশ এলেই বিমান বাহিনী যেন শক্তি প্রদর্শন করতে পারে, সেই জন্যই এই মহড়া। ভারত কোন পথে, কীভাবে এগোবে হবে তা নিয়ে এখনও কিছুটা সংশয় রয়েছে সরকারের অন্দরে। কিন্তু জঙ্গি দমন নীতিতে আরও কড়া হবে ভারত, এই মহড়া দিয়েই তা প্রাথমিক ভাবে প্রমাণ হল, তা বলছেন অনেকেই।