1. sardardhaka@yahoo.com : adminmoha : Sardar Dhaka
  2. nafij.moon@gmail.com : Nafij Moon : Nafij Moon
  3. rafiqul@mohajog.com : Rafiqul Islam : Rafiqul Islam
  4. sardar@mohajog.com : Shahjahan Sardar : Shahjahan Sardar
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:৫৯ পূর্বাহ্ন

নিষিদ্ধ হচ্ছে ফেসবুক!

মহাযুগ নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ২৪ আগস্ট, ২০১৯
  • ২৯০ বার

ফেসবুক এর কল্যাণে যেমন সামাজিক যোগাযোগ বৃদ্ধি হয়েছে। ঠিক তেমনি এর অপব্যবহারের কারণে বেড়েছে বিভিন্ন অপরাধ। বিশেষ করে ছাত্র-ছাত্রীরা ফেসবুকে বেশি সময় দেওয়ার কারণে অমনোযোগী হয়ে পড়ছে লেখাপড়ায়।

এবার স্কুলে ফেসবুক ব্যবহার বন্ধ করতে যাচ্ছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ লক্ষ্যে নতুন একটি খসড়া নীতিমালা তৈরি করা হয়েছে। এর ফলে বিদ্যালয়ের মধ্যে আইসিটি ডিভাইস বহন, ছবি তোলা এবং ভিডিও করা নিষিদ্ধ হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

জানা গেছে, হাইকোর্টের নির্দেশে প্রায় দুই বছর পর নীতিমালাটি চূড়ান্ত করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ।

শনিবার (২৪ আগস্ট) ব্যানবেইসে সারাদেশে শতাধিক শিক্ষা কর্মকর্তা, শিক্ষক, অভিভাবকদের নিয়ে একটি কর্মশালার মাধ্যমে ‘স্কুল বুলিং নীতিমালা-২০১৯’ চূড়ান্ত করা হচ্ছে। নীতিমালায় বুলিং প্রতিরোধের উপায় হিসেবে পারিবারিক শিক্ষা, অভিভাবক এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের করণীয় নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে।

খসড়া নীতিমালায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের করণীয় নির্ধারণ করে বলা হয়েছে, বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের মূল্যবোধ শেখানোর দিকে বেশি নজর দিতে বলা হয়েছে। নীতিমালায় নিয়ম ভঙ্গকারীদের জন্য শাস্তির বিধান করা হয়েছে। এমনকি নিয়ম ভঙ্গ করলে টিসি দিয়ে দেয়া হবে এমন বার্তা সবার মধ্যে পৌঁছে দেওয়ার কথা খসড়া নীতিমালায় বলা হয়েছে।

এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। তবে কোনো শিক্ষার্থীকে শারীরিকভাবে আঘাত করা যাবে না। প্রয়োজনে কাউন্সিলিং করতে হবে। অভিভাবকদের ডেকে বোঝাতে হবে। বুলিং রোধে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ, করিডোর, ক্লাসরুমে সিসি ক্যামেরা বসানোর পাশাপাশি মনিটরিং করতে হবে।

এক্ষেত্রে শিক্ষক, কর্মচারীদের মুখ্য ভূমিকা পালন করতে হবে। এ আইন অমান্য বা একে বুলিং হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, এটি ক্রিমিনাল ক্রাইম না হলেও স্কুল কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনে পুলিশের সাহায্য নিতে পারেন। শিক্ষকদের কোনো চাপমুক্তভাবে নিয়ম-শৃঙ্খলা বজায় রাখার পর্যাপ্ত ক্ষমতা দিতে হবে। শিক্ষক যুক্তিসঙ্গত উপায়ে তা হ্যান্ডেল করবেন। বুলিংয়ের শিকার ও বুলিং করা উভয়ের কাছে লিখিত নেয়ার ব্যবস্থা করা উত্তম। এক্ষেত্রে কেউ সাক্ষী থাকলে তার থেকেও লিখিত রিপোর্ট নেয়া যাবে। বুলিংয়ের শিকার ও বুলিং করা উভয়কে আলাদাভাবে বা একসঙ্গে প্রতিরোধ কমিটি প্রয়োজনীয় কথা বলবে।

এ ব্যাপারে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (মাধ্যমিক-২) জাবেদ আহমেদ বলেন, নীতিমালা প্রায় চূড়ান্ত। শনিবার শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবকদের নিয়ে একটি কর্মশালার পর এটি চূড়ান্ত করার পর প্রজ্ঞাপন আকারে জারি করা হবে। আদালতের নির্দেশে নীতিমালায় এটি করা হয়েছে।

খসড়া নীতিমালায় স্কুল বুলিং বলতে বোঝানো হয়েছে, স্কুল চলাকালীন সময় বা শুরুর আগে ও পরে, ক্লাস রুমে, স্কুলের ভেতরে, প্রাঙ্গণে বা স্কুলের বাইরে কোনো শিক্ষার্থী দ্বারা অন্য শিক্ষার্থীকে শারীরিক আঘাত করা বা মানসিক বিপর্যস্ত করা, অশালীন বা অপমানজনক নামে ডাকা, অসৌজন্যমূলক আচরণ করা, কোনো বিশেষ শব্দ বার বার বলে উত্ত্যক্ত বা বিরক্ত করাকে স্কুল বুলিং হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। সাধারণত স্কুলে মৌখিক, শারীরিক ও সামাজিক- এ তিন ধরনের বুলিং হয়ে থাকে। মৌখিক বুলিং হলো কাউকে উদ্দেশ্য করে এমন কিছু বলা বা লেখা, যা খারাপ কোনো কিছুর প্রতি ইঙ্গিত।

উল্লেখ্য, এর আগে জার্মানিতে ফেসবুক আর টুইটারের মতো সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলো অফিসে ব্যবহার নিষিদ্ধ করে৷

এ জাতীয় আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2023 Mohajog