1. sardardhaka@yahoo.com : adminmoha : Sardar Dhaka
  2. nafij.moon@gmail.com : Nafij Moon : Nafij Moon
  3. rafiqul@mohajog.com : Rafiqul Islam : Rafiqul Islam
  4. sardar@mohajog.com : Shahjahan Sardar : Shahjahan Sardar
বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:৩১ অপরাহ্ন

‘মিয়ানমারের কাছে বিপুল পরিমাণ রাসায়নিক অস্ত্র আছে’

মহাযুগ নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর, ২০১৯
  • ২১০ বার

সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের ওপর পাশবিক নিপীড়নের জন্য বিশ্ব জুড়ে ধিকৃত মিয়ানমারের বিরুদ্ধে এবার গুরুতর অভিযোগ এনেছে যুক্তরাষ্ট্র। তারা বলেছে, ১৯৮০ সাল থেকে দেশটির কাছে বিপুল পরিমাণ রাসায়নিক অস্ত্রের মজুত ছিল, তারা সেগুলো ধ্বংস করেনি। বরং সেগুলো এখনও মিয়ানমারের কাছেই আছে।

তাদের আরও অভিযোগ,রাসায়নিক অস্ত্র নিষিদ্ধকরণে আন্তর্জাতিক একটি কনভেনশন লঙ্ঘন করছে মিয়ানমার।

সোমবার রাসায়নিক অস্ত্র নিষিদ্ধকরণ সংস্থা বা ওপিসিডাব্লিউ-এর বার্ষিক সভায় এমন তথ্য দিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক শীর্ষ কর্মকর্তা। তিনি জানিয়েছেন, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মিয়ানমারের কাছে ভারী গ্যাস উৎপাদনের একটি ক্ষেত্রে এখনও রাসায়নিক অস্ত্রের মজুত রয়েছে।

যদিও মিয়ানমার ২০১৫ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে রাসায়নিক অস্ত্র কনভেনশনে (সিডাব্লিউসি) স্বাক্ষর করেছে। ওই কনভেনশনের শর্ত অনুযায়ী, এতে স্বাক্ষরকারী কোনো দেশ রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার, উৎপাদন কিংবা মজুত করতে পারবে না। ওপিসিডাব্লিউ সংস্থাটি মুলত বিশ্বে রাসায়নিক অস্ত্রের বিষয়টির ওপর নজরদারি করে থাকে।

সোমবার নেদারল্যান্ডসের হেগে বসেছিল ওপিসিডাব্লিউ’র বার্ষিক সভা। সেখানে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপ সহকারী সচিব বলেন, ‘মিয়ানমারের ঐতিহাসিক রাসায়নিক অস্ত্র ক্ষেত্রটিতে এখনো রাসায়নিক অস্ত্রের মজুত রয়েছে। কনভেশন লঙ্ঘন করায় যুক্তরাষ্ট্র এই বিষয়টি নিয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।’

তিনি আরও বলেন,হাতে আসা উপযুক্ত তথ্যের ভিত্তিতে যুক্তরাষ্ট্র এটা নিশ্চিতভাবে বলছে যে, মিয়ানমার স্পষ্টতই রাসায়নিক অস্ত্র কনভেনশন লঙ্ঘন করছে। কেননা এর আগে তারা তাদের অতীত রাসায়নিক অস্ত্র কর্মসূচি সম্পর্কে কিছু জানায়নি এবং এখনো তারা তাদের রাসায়নিক অস্ত্র ক্ষেত্রটিও ধ্বংস করেনি।

মিয়ানমারের বিরুদ্ধে এর আগেও বেশ অনেকবার রাসায়নিক অস্ত্র উৎপাদন, মজুত ও ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। তবে দেশটির বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের এমন অভিযোগ এবারই প্রথম। আর এমন সময়ে তারা এ অভিযোগ আনলো যখন রোহিঙ্গা সংখ্যালঘু মুসলিমদের ওপর নির্যাতনের জন্য আন্তর্জাতিক অঙ্গণে ব্যাপাকভাবে চাপ ও বিচারের মুখে রয়েছে মিয়ানমার।

প্রসঙ্গত, মিয়ানমারের সেনাদের ব্যাপক পাশবিক নির্যাতনের মুখে ২০১৭ সালে ২৫ আগস্টের পর থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা। মিয়ানমার প্রশাসনের প্রত্যক্ষ মদদে রোহিঙ্গাদের ওপর পরিচালিত সেনাবাহিনীর এই নির্যাতনকে জাতিগত নিধন হিসাবে উল্লেখ করেছে জাতিসংঘ। আর এ ঘটনায় সম্প্রতি দেশটির সরকার, সেনাবাহিনী ও তাদের নেত্রী অং সান সু চির বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতসহ দুটি মামলা দায়ের হয়েছে।

এ জাতীয় আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2023 Mohajog