1. sardardhaka@yahoo.com : adminmoha : Sardar Dhaka
  2. nafij.moon@gmail.com : Nafij Moon : Nafij Moon
  3. rafiqul@mohajog.com : Rafiqul Islam : Rafiqul Islam
  4. sardar@mohajog.com : Shahjahan Sardar : Shahjahan Sardar
শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৩৭ পূর্বাহ্ন

সবজিতে তৃতীয়, চাল ও মাছ উৎপাদনে চতুর্থ বাংলাদেশ

মহাযুগ নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০১৯
  • ২৪৯ বার

কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর কৃষিবান্ধব ও সময়োপযোগী পদক্ষেপের ফলে কৃষিতে বাংলাদেশের সাফল্য ঈর্ষণীয়। কৃষি জমি ক্রমান্বয়ে হ্রাস পাওয়া, জনসংখ্যা বৃদ্ধিসহ জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বন্যা, খরা, লবণাক্ততা ও বৈরী প্রকৃতিতেও খাদ্যশস্য উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে উদাহরণ। ধান, গম ও ভুট্টায় বিশ্বের গড় উৎপাদনকে পেছনে ফেলে ক্রমেই এগিয়ে চলছে বাংলাদেশ। সবজি উৎপাদনে তৃতীয় আর চাল ও মাছ উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে চতুর্থ স্থানে। বন্যা, খরা, লবণাক্ততা ও দুর্যোগ সহিষ্ণু শস্যের জাত উদ্ভাবনেও শীর্ষে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ শুধু খাদ্যে নয়, সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যের (এমডিজি) প্রায় সবগুলো মানদণ্ড অর্জন করেছে। তাইতো বাংলাদেশ ১১৭টি দেশের মধ্যে ক্ষুধা সূচকে ৮৮তম হয়েছে। বাংলাদেশের স্কোর ২৫.৮ যেখানে ২০০০ সালে ছিল ৩৬। এ সকল দেশের মধ্যে ৪৭টি দেশের অবস্থা মারাত্মক।’

সোমবার (৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে বিশ্ব ক্ষুধা সূচক-২০১৯ এর প্রকাশ অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্ব ক্ষুধা সূচকে বাংলাদেশ সার্বিকভাবে উন্নতির দিকেই রয়েছে। বাংলাদেশ শিশুমৃত্যু হ্রাসে ভালো করেছে এবং অন্যান্য সূচকে বাংলাদেশ ভালো করবেই। পুষ্টিহীনতা, খর্বাকার শিশু এবং শিশুমৃত্যুর হার হ্রাস পেয়েছে বাংলাদেশে। নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য একটি চেইন। এখানে কৃষক ও ভোক্তা, সামাজিক ও অর্থনৈতিক ব্যপারগুলো জড়িত। সরকার সামাজিক নিরাপত্তার নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।’

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ পুষ্টি কাউন্সিলের মহাপরিচালক ডা. শাহ নেওয়াজ, কনসার্ন ওয়ার্ল্ডওয়াইডের কান্ট্রি ডিরেক্টর এ কে এম মুসা,হেলভেটাস বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর উম্মে হাবিবা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, কোন দেশের জনগণ কতটা খাদ্যাভাব অর্থাৎ খিদে পেটে থাকে, তা তুলে ধরা হয় বিশ্ব ক্ষুধা সূচক বা গ্লোবাল হাঙ্গার ইনডেক্সে (জিএইচআই)। এই সূচক নির্ধারণ করা হয় ০ থেকে ১০০ পয়েন্টের মাপকাঠিতে। এই মাপকাঠিতে ০ সবচেয়ে ভালো স্কোর, আর ১০০ হচ্ছে সবচেয়ে খারাপ। ১০-এর কম স্কোর পাওয়ার অর্থ খিদের সমস্যা কম। ২০ থেকে ৩৪ দশমিক ৯ স্কোরের অর্থ তীব্র খিদে, ৩৫ থেকে ৪৯ দশমিক ৯ অর্থ ভীতিকর খিদে আর ৫০ বা তার বেশি স্কোর বলতে বোঝায় চরমভাবে খিদেয় পীড়িত দেশ।

এ জাতীয় আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2023 Mohajog