আইনি জটিলতা কাটিয়ে আরও ৫ জেলার নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষকদের নিয়োগ কার্যক্রম দ্রুততম সময়ে সম্পন্ন করার তাগিদ দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
সম্প্রতি যুগ্মসচিব খান মোঃ নূরুল আমিন সাক্ষারিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এতথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, উপর্যুক্ত বিষয়ের পরিপ্রেক্ষেতে জানানো যাচ্ছে যে, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের রাজস্বখাতভুক্ত সহকারী শিক্ষক নিয়োগ ২০১৮ এর ফলাফলে যথাযথভাবে বিভিন্ন কোটা সংরক্ষণ হয়নি মর্মে মহামান্য হাইকোর্টে মামলা চলমান থাকায় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ১৩ ফ্রেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখের ৩৮.০১.০০০০.১৪৩.১১.০১১.১৮-৩০/৬১(৭০) নং স্মারক মারফত তার জেলায় নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিত করা হয়।
নিম্নবর্ণিত জেলাসমূহের নামের পার্শ্বেবর্ণিত রীট মামলাগুলির স্থগিতাদেশ আপীল বিভাগে স্থগিত করা হয়ে মর্মে প্যানেল আইনজীবী জনাব শেখ শফীক মাহমুম পুষ্প জানিয়েছেন (কপি সংযুক্ত)।
এমতাবস্থায় তার নিকট এ বিষয়ে অন্যকোন মামলার স্থগিতাদেশ তথ্য না থাকলে দ্রুততম সময়ের মধ্যে নিয়োগপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষকদের যোগদানপত্র প্রহণ করত; পদায়নের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
নিয়োগ কার্যক্রমে বাধা পেরনো নতুন ৫টি জেলা হলো- দিনাজপুর, কুষ্টিয়া, নড়াইল, বাগেরহাট ও ফরিদপুর।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ৩০ জুলাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়। পরে ওই বছরের ১ থেকে ৩০ আগস্ট পর্যন্ত সারাদেশ থেকে ২৪ লাখ পাঁচজন প্রার্থী আবেদন করেন।
গত বছর সারাদেশে প্রথম ধাপে ২৪ মে, দ্বিতীয় ধাপে ৩১ মে, তৃতীয় ধাপে ২১ জুন এবং চতুর্থ ধাপে ২৮ জুন লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। সেপ্টেম্বরে লিখিত পরীক্ষায় ৫৫ হাজার ২৯৫ জন পাস করেন। গত ৬ অক্টোবর থেকে নিয়োগ পরীক্ষার মৌখিক পরীক্ষা শুরু হয়।
মাসব্যাপী সারাদেশের সব জেলায় মৌখিক পরীক্ষা আয়োজন করা হয়। সবশেষে গত ২৪ ডিসেম্বর এ পরীক্ষায় ৬১ জেলায় ১৮ হাজার ১৪৭ জনকে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত করে ফলাফল প্রকাশ করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।