অবশেষে ভারত-চীনের মধ্যে সীমান্ত নিয়ে চলমান উত্তেজনার সমঝোতা হয়েছে। পশ্চিম হিমালয়ের বিরোধপূর্ণ লাদাখ সীমান্তে আরও সেনা না পাঠানোর বিষয়ে দুই দেশই একমত পোষণ করেছে।
গত সোমবার উভয় দেশের ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তারা এক বৈঠকে বিরোধপূর্ণ সীমান্ত নিয়ে নিজেদের ধারণা বিনিময় করেন। গতকাল মঙ্গলবার উত্তেজনাপূর্ণ ওই সীমান্তে পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তোলার মতো তৎপরতা এড়িয়ে চলার ঘোষণাটি আসে।
নয়া দিল্লিতে ভারত সরকারের প্রকাশ করা একটি যৌথ সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, উভয়পক্ষ ‘ভুল বোঝাবুঝি ও ভুল ধারণা এড়ানোর’ এবং ‘একতরফাভাবে পরিস্থিতি পরিবর্তন করা থেকে বিরত থাকার’ বিষয়ে একমত হয়েছে। যত শিগগির সম্ভব সামরিক কমান্ডার পর্যায়ের সপ্তম রাউন্ড বৈঠক আয়োজনের বিষয়েও উভয়পক্ষ একমত হয়েছে।
চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র উ ছিয়ান জানিয়েছেন, সোমবাররের বৈঠকের পর সীমান্তে উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি এড়িয়ে চলতে সিদ্ধান্ত হয়েছে। এখন থেকে সেভাবেই চলবে।
এসব তথ্য নিজেতের প্রতিবেদনে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। প্রতিবেদনে এও বলা হয়েছে, তিব্বত সীমান্তবর্তী লাদাখ অঞ্চলের বিরোধপূর্ণ একটি অংশে ভারত ও চীনের কয়েক হাজার সেনা এখনও জড়ো হয়ে আছে। হিমালয়ের ওই প্রত্যন্ত অঞ্চলে কয়েক সপ্তাহ ধরে উত্তেজনা-অচলাবস্থা চলছিল।
এর আগে মস্কোতে দুই পক্ষের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের পর ১১ সেপ্টেম্বর চীন ও ভারত জানিয়েছিল, তারা উত্তেজনা হ্রাস ও ‘শান্তি ও স্থিতিশীলতা’ ফিরিয়ে আনার বিষয়ে একমত হয়। লাদাখ সীমান্ত অঞ্চল থেকে সেনা দ্রুত সরিয়ে আনা ও উত্তেজনা হ্রাসের বিষয়েও একমত হয়েছিল দুপক্ষ।