ঢাকা: ‘জুন মাসের শেষের দিকে সালাহ উদ্দিন ভাইয়ের সঙ্গে ফোনে কথা হয়, সেটাই ছিল ভাইয়ের সঙ্গে আমার শেষ কথা। এভাবে ভাইয়ের মৃত্যু হবে কখনও ভাবিনি।’
‘তিনি আমাদের সবাইকে সন্তানের মতোই ভালোবাসতেন, লালন-পালন করতেন, খোঁজ-খবর নিতেন। কিন্তু আজ খোঁজ-খবর নেওয়ার সেই মানুষটাই আর নেই।’
কান্নাজাড়িত কণ্ঠে বাংলানিউজকে এমনটাই বললেন গুলশান হামলায় প্রাণ বিসর্জনকারী বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাহ উদ্দিন খানের ছোট বোন মাহমুদা খান।
শনিবার (০৯ জুলাই) রাজধানীর গুলশানে ৭৯ নম্বর রোড়ের আর্টিজান রেস্টুরেন্টের মোড়ে পুলিশের বেরিকেটের সামনে এসেছিলেন তিনি। এ সময় তার স্বামী মাহবুবুর রহমান, মেয়ে সাদেকুন নাহার, ছেলে মাহমুদুর রহমান এবং ভাতিজি রাফিনুর খান সঙ্গে ছিলেন।
মাহমুদা খান বলেন, দুই মাস আগে ভাইয়া আমার বাসায় আসেন, সেসময় দেখা হয়। ওই দিনের পর আর দেখা হয়নি। জুন মাসের শেষের দিকে ভাই আমাকে ফোন করে ছেলে-মেয়ের কাপড়ের মাপ নেন, ঈদে কাপড় দেওয়ার জন্য। এরপর আর কথাও হয়নি।
সরেজমিনে দেখা যায়, গুলশানে রেস্তোরাঁর সামনে শ্রদ্ধার ফুলের পাশে দাঁড়িয়ে থেকে অঝরে চোখের পানি ফেলছেন মাহমুদা। পরনের ওড়না দিয়ে চোখ মুছে নিচ্ছেন, তবুও যেনো অশ্রুজল থামার নয়। এদিকে, পাশে ছিলেন তার দুই সন্তান ও স্বামী।
মাহমুদার ছেলে মাহদুর বলেন, মামা দেশের জন্য লড়াই করে তার জীবন দিয়েছেন। তিনি দেশকে অনেক ভালোবাসতেন। গত ১ জুলাই সন্ত্রাসী হামলা প্রতিরোধে তিনি মারা যান।