মাসুদ হাসান রিদম,ঢাকা: ১৪ দলের উদ্যোগে জঙ্গিবাদ বিরোধী সমাবেশে তিন স্তরের নিরাপত্তা বলয় থাকবে। পোষাকধারী পুলিশের পাশাপাশি থাকবে সাদা পোষাকে বিশেষ পুলিশ, গোয়েন্দা পুলিশ, সোয়াট, বোম্ব ডিসপোজাল এবং ডগ স্কোয়াড ইউনিট। সমগ্র শহীদ মিনার এলাকায় বসানো হয়েছে সিসিটিভি।
আজ ১১ জুলাই সোমবার সকাল ১০.০০টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শণকালে উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে এসব কথা বলেন ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার মোঃ আছাদুজ্জামান মিয়া বিপিএম, পিপিএম।
তিনি আরো বলেন, সমাবেশ স্থলে কোন ধরণের দাহ্য পদার্থ ও ব্যাগ নিয়ে আসে যাবেনা। তিনি নিরাপত্তার স্বার্থে সমাবেশ স্থলে আগত সম্মানিত সকল নাগরিককে আর্চওয়ে গেট দিয়ে প্রবেশ করার জন্য অনুরোধ জানান।হ্যান্ড মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে তল্লাশীর সময় এবং নিরাপত্তার কাজে আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সহযোগিতার কথাও বলেন।
সম্প্রতি গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্টে ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক হামলার বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে কমিশনার জানান, এটি আইনশৃংখলা বিষয়ক কোন ঘটনা নয়। এটি একটি জাতীয় সমস্যা। এ সমস্যা নতুন, আগে ছিল না। তারপরও পুলিশ খবর পেয়ে কয়েক মিনিটের মধ্যে ঘটনাস্থলে প্রতিরোধ গড়ে তুলে এবং সারা রাত ঘটনাস্থল ঘিরে রেখে পাল্টা আক্রমণ করে হামলাকারীদের রেস্টুরেন্টের ভিতরে থাকতে বাধ্য করে। যার ফলশ্রুতিতে সম্মিলিত বাহিনীর সফল অভিযানের মধ্য দিয়ে জিম্মি সংকট অবসান হয়।
আমরা মুক্তিযোদ্ধার উত্তরসূরী। মুক্তিযুদ্দের সময় সর্বপ্রথম থ্রী নট থ্রী রাইফেল নিয়ে রাজারবাগ থেকেই এই পুলিশ বাহিনী প্রথম প্রতিরোধ গড়ে তোলে।সন্ত্রাস মোকাবেলায় পুলিশের যা যা করা দরকার তা পুলিশ করবে। হামলা করে এদেশের আইনশৃংখলা বাহিনী বা এদেশের জনতাকে দমন করা যাবে না বলে সন্ত্রাসীদের উদ্দেশ্যে পরিষ্কার বার্তা দেন কমিশনার।
এসময় তিনি আরো জানান, মহানগরীর বিশেষ বিশেষ স্থানে নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। প্রত্যেকটি বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। এসব চেকপোস্টে সম্মানিত নাগরিককে হয়রাণি মনে না করে নিরাপত্তার স্বার্থে সহযোগিতার আহ্বান জানান তিনি।