শরীর-মন এক নিমিষেই চাঙা করে তুলতে পারে গাঢ় লিকারের এক কাপ চা। সময়ের সঙ্গে চায়েও এসেছে বিভিন্ন ধরণ। বিভিন্ন ফুল, ফল থেকে তৈরি হচ্ছে হারবাল চা। এসব চা বাজারে সহজলভ্য হওয়ায় সাধারণ কালো চায়ের কদর কমেছে অনেকটাই। বিশ্বের পুরষ্কারপ্রাপ্ত রিসার্চ ফার্ম মিন্টেল জানায়, গত পাঁচ বছরে চায়ের বিক্রি কমেছে ২০ শতাংশের বেশি। এদিক থেকে সবচেয়ে বেশি খারাপ অবস্থায় রয়েছে কালো চা।
চায়ের বাজার আবার চাঙা করে তুলতে অন্যতম সেরা ব্র্যান্ড টেটলি সুপার এভরিডে টি নামক একটি নতুন সংযোজন এনেছে। নতুন চায়ের বিশেষত্ব হচ্ছে, এতে যোগ করা হয়েছে ভিটামিন। উপস্থিত রয়েছে ভিটামিন বি৬ এর শক্তি, থাকছে ভিটামিন সি এর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ও মনোযোগ বৃদ্ধিকারক ক্যাফেইন।
পরবর্তী মাসেই বিশেষ এই চা বাজারে পৌঁছাবে বলে জানা যায়। টেটলির পরবর্তী প্ল্যান হচ্ছে, সমমানের ভিটামিনযুক্ত ফ্রুট টি তৈরি করা।
কফির জনপ্রিয়তা বেড়ে যাওয়ায় কালো চায়ের চাহিদা কমেছে। আবার ওদিকে চিনি, বিস্কুট ও কেকের আসক্তি কমাতে গিয়েও চা কে ছেঁটে ফেলা হচ্ছে।
মিন্টেলের এমা ক্লিফোর্ড জানান, সবাই একমত হবেন যে, বিস্কুট ও কেকের ভালো জুটি হচ্ছে চা। কিন্তু চিনি খাওয়া কমাতে গিয়ে চায়ের বাজার নেমে গেছে প্রত্যাশিত সীমা ছাড়িয়ে।
টেটলির অ্যালেক্স স্নোডেন জানান, যদি নতুন উদ্ভাবিত ভিটামিন চা, টেটলির গ্রিন টির মতো সফল হয়, তাহলে এটি কালো চায়ের ভাগ্যও পরবর্তীতে সুপ্রসন্ন করতে পারে।