রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ও বিশেষায়িত ৮টি ব্যাংকের মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ ২৮ হাজার ৫৪০ কোটি ৬৭ লাখ টাকা বলে সংসদ জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
তিনি জানান, চলতি বছরের মার্চ মাস পর্যন্ত ব্যাংকিং খাতে বিতরণ করা ১ লাখ ৩৩ হাজার ৮৩৪ কোটি টাকার মধ্যে ঋণের বিপরীতে আদায় হয়েছে ৬ হাজার ৯১৬ কোটি টাকা।
বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) বিকেলে তরিকত ফেডারেশনের সংসদ সদস্য এমএ আউয়ালে প্রশ্নের উত্তরে লিখিত বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী এ তথ্য জানান।
এর আগে স্পিকার ড. শিরিন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এ অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়।
অর্থমন্ত্রী বলেন, সবচেয়ে বেশি খেলাপি ঋণ রয়েছে সোনালী ব্যাংকের- ৭ হাজার ৯৭৯ কোটি ৭৯ লাখ টাকা। খেলাপি ঋণের পরিমাণ সবচেয়ে কম বিডিবিএলএ’র- ৬৩০ কোটি ১২ লাখ টাকা। বাকি ৬ টি ব্যাংকের মধ্যে অগ্রণী ব্যাংকের ৪ হাজার ৫৮৮ কোটি ১৩ লাখ, বেসিক ব্যাংকের ৬ হাজার ৩শ’ কোটি ৮২ লাখ, জনতা ব্যাংকের ২ হাজার ৮৩০ কোটি ৬৮ লাখ, রূপালী ব্যাংকের ১ হাজার ৫৪৭ কোটি ৭৬ লাখ এবং বিশেষায়িত ব্যাংকের মধ্যে কৃষি ব্যাংকে ৩ হাজার ৮৬১ কোটি এবং রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৮০১ কোটি ৯৯ লাখ টাকা।
খেলাপি ঋণ আদায়ে সরকার তথা বাংলাদেশ ব্যাংক বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। শ্রেণীকৃত ঋণ আদায়ের লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক উত্তম চর্চার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে দেশের জন্য ঋণ পুনঃতফসিলিকরণ নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে। খেলাপি/শ্রেণীকৃত ঋণ আদায়ের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও তদারকির জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে একটি পৃথক টাস্কফোর্স সেল গঠন করা হয়েছে। ওই সেলের মাধ্যমে অর্থ ঋণ আদালতসহ অন্যান্য আদালতে দায়েরকৃত মামলাসমূহ দ্রুত নিষ্পত্তির লক্ষ্যে নিয়মিত তদারকি করা হচ্ছে, যোগ করেন মুহিত।