1. sardardhaka@yahoo.com : adminmoha : Sardar Dhaka
  2. nafij.moon@gmail.com : Nafij Moon : Nafij Moon
  3. rafiqul@mohajog.com : Rafiqul Islam : Rafiqul Islam
  4. sardar@mohajog.com : Shahjahan Sardar : Shahjahan Sardar
শনিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ১০:৫১ অপরাহ্ন

ক্ষতিকারক ৫ হেপাটাইটিস ভাইরাস

মহাযুগ নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ২৫ জুলাই, ২০১৬
  • ৩৪৫ বার

হেপাটাইটিস সম্পর্কে কমবেশি সবাই জানি। লিভারের সঙ্গে সম্পৃক্ত এ রোগটি সাধারণত ভাইরাসজনিত কারণে হয়।

ল্যাটিন ভাষায় লিভারকে বলা হয় হেপাট। লিভারে প্রদাহ সৃষ্টি হলে তাকে বলা হয় হেপাটাইটিস। লিভারে প্রদাহ সৃষ্টি হলে বেশকিছু শারীরিক লক্ষণ দেখা দেয়। ভাইরাস ছাড়াও বিভিন্ন কারণে- ব্যাকটেরিয়া, ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ও গলব্লাডারের অসুস্থতা থেকে হেপাটাইটিস হতে পারে।

পাঁচ হেপাটাইটিস ভাইরাস

হেপাটাইটিস ভাইরাসের পাঁচটি ভাগ রয়েছে। হেপাটাইটিস এ, বি, সি, ডি এবং ই।

হেপাটাইটিস এ – খাদ্য ও পানীয় যদি কোনোভাবে মলমূত্রের সংস্পর্শে আসে, তবে হেপাটাইটিস এ ছড়ায়। সাধারণত শিশুরা এতে বেশি আক্রান্ত হয়।

হেপাটাইটিস ই –  এ এর মতো প্রায় একই কারণেই ছড়ায়। তবে এ ভাইরাসের ক্ষতি করার ক্ষমতা কম। প্রেগন্যান্সিতে ভাইরাসটি ক্ষতিকারক।

হেপাটাইটিস বি – যেকোনো বয়সেই হতে পারে। গর্ভকালীন সময়ে মায়ের শরীরে এ ভাইরাস থাকলে তা শিশুর শরীরেও প্রবেশ করে। ফলে জন্মের পর শিশু বিভিন্ন রোগে ভুগতে পারে। এ ভাইরাসের জিন লিভারের কোষের জিনের সঙ্গে এমনভাবে জড়িয়ে যায় যে লিভারের কোষগুলোকে ধ্বংস করে ফেলতে পারে।

 

হেপাটাইটিস সি – এর সাধারণত কোনো উপসর্গ চোখে পড়ে না। তবে দীর্ঘদিন অবস্থানের পর এটি সিরোসিস তৈরি করে। যার ফলে লিভার ক্যানসার, এমনকি মৃত্যুও হতে পারে।

হেপাটাইটস ডি – হেপাটাইটিস ডি এক কথায় বি ভাইরাসের সহযোগী। যা বি ভাইরাসের মতো সমান ক্ষতিকর।

সাবধানতা
হেপাটাইটিস নিয়ে খুব বেশি চিন্তার কিছু নেই। হালকা সহজপাচ্য খাবার খাওয়া, হালকা ব্যায়াম করা, অ্যালকোহল ও মাদক সেবন থেকে বিরত থাকা প্রাথমিক পরামর্শ।

হেপাটাইটিসি এ তে ব্যক্তিগত সাবধানত‍া জরুরি। বিশুদ্ধ খাবার ও পানীয় জলের সুব্যবস্থা রাখতে হবে। হেপাটাইটিস বি, সি, বা ডি হলে বেশিরভাগই সুস্থ হয়ে ওঠেন। তবে কারও কারও ক্ষেত্রে ভাইরাস লিভারে সুপ্ত অবস্থায় থেকে যায়। যা পরে সক্রিয় হয়ে ওঠে। হেপাটাইটিস বি দীর্ঘস্থায়ীও হতে পারে। যার ফলে লিভার ক্যানসার ও সিরোসিস হতে পারে।

সবরকম হেপাটাইটিস ভাইরাসে প্রথম অবস্থায় রোগের লক্ষণ প্রায় একই রকম। দুর্বলতা, ক্ষুধামন্দা, বমিভাব, চোখ হলুদ হওয়া, পেটে ব্যথা, জ্বর ইত্যাদি দেখা দেয়। হেপাটাইটিস বি এর ক্ষেত্রে কিছু বাড়তি লক্ষণ থাকে। বিভিন্ন সন্ধিতে ব্যথা ও ত্বকে চাক চাক দেখা দেওয়া। হেপাটাইটিস বি এড়াতে বিশুদ্ধ পানি পান ও হাত পায়ের পরিচ্ছন্নতা জরুরি।

স্বামী-স্ত্রীর যেকোনো একজনের এ রোগ থাকলে অন্যজনকে অবশ্যই ভ্যাকসিন নিতে হবে। বাড়িতে কারও হেপাটাইটিস বি পজিটিভ থাকলে তার ব্রাশ, নেইলকাটার ও রেজার আলাদা রাখতে হবে। নিয়মিত ডাক্তারের পরামর্শ মেনে চলুন ও প্রয়োজনীয় টীকা নিন।

এ জাতীয় আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2023 Mohajog