মোটা মানুষ নাকি সাধারণ মানুষের চেয়ে কম বুদ্ধির হন! গবেষণা তো তাই বলছে।
সম্প্রতি একটি গবেষণায় বেরিয়ে এসেছে মোটারা স্বাভাবিক ওজনদার মানুষের তুলানায় কম বুদ্ধিসম্পন্ন হয়ে থাকেন। কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, মোটাদের মস্তিষ্কের মূল অঞ্চলে সাদা ও ধূসর পদার্থ কম থাকে। গবেষকরা জানান, অতিরিক্ত মোটাদের ‘ডায়েট চয়েস’ খুব খারাপ। নিজেদের নিয়ন্ত্রণ করার মতো মানসিক ক্ষমতা তাদের নেই।
যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ড অঙ্গরাজ্যের বাল্টিমোর শহরে ১৬ জন নারী ও ১৬ জন পুরুষের ওপর গবেষণা করে দেখা গেছে, খাবারের রকম ও শরীরের ওজন আমাদের নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতাকে উদ্বুদ্ধ করে।
অনুসন্ধানের মূল গবেষক ইউনিভার্সিটি অব ম্যানিটোবার ডিপার্টমেন্ট অব রেডিওলজির সহযোগী অধ্যাপক চেজ ফিগলেই জানান, যাদের শরীরে চর্বির পরিমাণ বেশি তাদের মস্তিষ্কে ধূসর পদার্থও বেশি। আবার যাদের ওজন বেশি তাদের মস্তিষ্কের সাদা পদার্থ কম থাকে। এখানে সূক্ষ্ম পার্থক্য রয়েছে; যা আমাদের অভ্যাসগত আচরণের সঙ্গে জড়িত।
অধ্যাপক ফিগলেই জানান, মোটা মানুষ তার আত্ম-নিয়ন্ত্রণ ও সুস্থ জীবনধারা বজায় রাখার ক্ষেত্রে ধীর।
তবে এই গবেষক-অধ্যাপক নিশ্চিত করেননি, মস্তিষ্কের এই তারতম্যই কি তাদের মোটা করে তোলে কিনা কিংবা কম ভাবুক করে তোলে কিনা। তিনি বলেছেন, অতীতের গবেষণা এ ধারণার পক্ষে রয়েছে।
ইউরোপের মধ্যে ব্রিটেনে সবচেয়ে বেশি স্থূলকায় লোকের বসবাস। সেখানে ৬৭ শতাংশ পুরুষ ও ৫৭ শতাংশ নারী স্থূলতার সমস্যায় ভুগছেন। স্থূলকায় সমস্যা নিরসনে তারা ব্যয়ও করছেন হাত খুলে।
ফিগলেই জানান, স্থূলতার কারণে বছর বছর বাড়ছে হৃদরোগীর সংখ্যা। সমানতালে বেড়ে যাচ্ছে আলজেইমার্সের ঝুঁকিও।