গ্রামীণফোন মোবাইলফোন ইন্টারনেটে যে 4G চালুর ঘোষণা দিয়েছে তারই প্রেক্ষিতে পাঠকের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিলো এই মোবাইলফোন অপারেটরের 3G নিয়েই গ্রাহক সাধারণের অভিজ্ঞতা কী। গত প্রায় আটচল্লিশ ঘণ্টায় বাংলানিউজের নির্দিষ্ট ই-মেইলে পাঁচ শতাধিক বার্তা এসেছে। সংবাদটির ফেসবুক পোস্টেও ছিলো মন্তব্য দেওয়ার সুযোগ। তাতে পাঠকরা জানিয়েছেন তাদের প্রতিক্রিয়া। প্রায় হাজার দেড়েক মন্তব্য জমা পড়েছে। এতে পাঠক-গ্রাহকরা তাদের মনোভাব জানিয়েছেন। আজ তুলে ধরা হচ্ছে তার দ্বিতীয় কিস্তি। প্রথম কিস্তি পড়ুন এখানে।
জোবারেয় অভি নামে একজন পাঠক জানালেন তার বাড়ি গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর থানায়। এই উপজেলা শহরে বাড়ির ছাদে উঠলে ইন্টারনেট কাজ করে, এবং গ্রামে থ্রিজি তো দূরের কথা ঘরে বসে ঠিক মতো কথাই বলা যায়না।
মহসিন খান নামে আরেক পাঠকেরও একই মত। তিনি লিখেছেন, আমার গ্রামের বাড়িতে জেলা শহররের বাইরে গেলে 3G থাকেনা। আর গ্রামে গেলে ঠিকমত নেটওয়ার্কই থাকে না। তাই বলি বাংলাদেশের সব জায়গায় আগে 2G তারপর 3G পরে 4G দিয়েন।
ইকতিয়ার এইচ রানা একটু বেশিই সমালোচনা করেছেন, লিখেছেন, গ্রামীণফোন কাজে বিশ্বাসী না, দেখাইতে বিশ্বাসী। তাই গ্রামীণফোনের 4G পরিবর্তে 1KG (1000G) আনলে আরো ভালো দেখাইত।
তবে এমএন ইসলাম সাজু গ্রামীণফোনের পক্ষে ইতিবাচক মনোভাব দেঝিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, খুব বেশি খারাপ তা বলবো না, তবে কক্সবাজার আর কিছু জায়গায় থ্রিজি কানেশন পাইনি টুজি পেয়েছি।
সাদেক হোসেনেরও একই মত, অনেক এলাকায় থ্রিজি কাভারেজ ঠিকমতো কাজ করে আবার অনেক এলাকায় টুজির সমান স্পিড। তবে এই উদ্যোগকে গ্রামীণফোনের ইন্টারনেট বিল বাড়ানোর ধান্ধা বলেই মত দিয়েছেন তিনি।
মনোয়ার আল ওয়ার্দিফুল নিশান বলেছেন, আমার গ্রামের বাসায় টুজিই পাই না | আর ফোর জি! গ্রামীণফোনরে আগে টু জি নেটওয়ার্ক ঠিক করতে বলেন। তারপর ফোর জি।
অনেকটা একই মত মোহাম্মদ আতিকুর রহমানের। তিনি লিখেছেন, প্রথমে তাদের 3G সম্পর্কিত জ্ঞান দেওয়া দরকার। বাংলাদেশের বাইরের দেশগুলোতে কিভাবে গ্রাহক সেবা দেওয়া হয় তা তাদের দেখা দরকার। বাংলাদেশের 3G মান অন্য দেশের 2G এর মত। তাই তাদের প্রয়োজন 3G মানের উন্নয়ন করা।। আর এ সংক্রান্ত বিষয় গুলোতে গ্রাহকদের মতামত গ্রহণ করা।
ইউনুস কাজির মত, 2g ভালভাবে থাকে না, আর ভূল করে 3g পেলেও h+ থাকলেও কোন কিছু ব্রাউজ করতে পারি না। এই হচ্ছে গ্রামীণফোন।
মুন্না ডিরুটস ফেসবুক নাম। তিনি সকল বিষ্ময় ছড়িয়ে বলেছেন, 4G! তাও আবার জিপিতে! ঈশা খা বেঁচে থাকলে নিশ্চই হার্ট অ্যাটাকে মারা যেতেন।
এসএম জাকির হোসেন সুনির্দিষ্ট করে জানিয়েছেন তার ব্রাহ্মণবাড়িয়া কোর্ট রোডের ৮ তলা বাসায় থ্রিজি নেটওয়ার্কতো দূরের কথা টুজি নেটই পাওয়া যায় না।
রাজধানীর লালবাগ এলাকা থেকে এক পাঠক লিখেছেন এখানে নেটওয়ার্কও ঠিকমত থাকেনা। ৩জি তো দূরের কথা।
মামুন হোসেন লিখেছেন, ভাই আমি ক্লান্ত। ১জি স্পিড দিয়ে ৩জি বেচতেছে! ৪জি আসলে কি হবে জানি না। এতো খরচ দিয়ে কুলাতে পারবো না। চোর আর জোচ্চর হচ্ছে জিপি!
শামস ফাহাদ লিখেছেন, হুজুগে দেশ গুলা হচ্ছে ব্যাবসার সবেচেয়ে উপযুক্ত যায়গা। ঢাকায় ফোর জি পাওয়া যাবে, টিভি তে এডভারটাইজ করে সারা দেশে সিম বিক্রি করবে।
অনিক ইসলাম লিখেছেন, ‘আরে ভাই নেটোয়ার্ক পাক না পাক সেটা কথা না, 4G চালু করলে সেই হিসাবে টাকা তো নিতে পারবে। রং এর চেয়ে সং ই বেশি।
মিজানুর রহমান মিজানের মত, থ্রিজি সেবার নামে বাংলাদেশ থেকে অবাধে অর্থ অাত্নসাৎ করতেছে তবে ফোরজি সেবার নামে কি যে করবে বা হবে তা বুঝতে আমার অবশিষ্টটুকুও নেই…!
এম. পেয়ার আহমদ লিখেছেন, ভাবছি এক্কান মই কিনুম। নেট না পাইলে মই বেয়ে ঘরের ছাদে ওঠে…আপনারা কি বলেন?
মুহাম্মদ রাশেদের মত, গ্রামীণফোন 4G’র কথা বলে আবারও প্রতারণার শীর্ষের পদটা ধরে রাখতে চায়!!!
মিঠু নামের এক পাঠক লিখেছেন, বড়িতে ঠিকভাবে টু জি পাচ্ছি না, থ্রিজি তো আশাই করা যায় না। ফোরজির কথা নাই বললাম।
আর এজে আজাদ মনে করেন, সময়ের ধারাবাহিকতায় থ্রিজি-ফোরজি সবই দরকার আছে। কিন্তু এসব চমকের চেয়ে আগের সব সেবা নিশ্চিত করা দরকার।