ঢাকা: রাজধানীর গুলশানে ‘হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁ’য় সন্ত্রাসী হামলার এক মাসেও নেপথ্যের কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। তবে হামলার সময় আশপাশে থাকা বেশ কয়েকজন যুবকের তথ্য পেয়েছেন তদন্ত সংশ্লিষ্টরা।
আর মামলা তদন্তে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া।
কমিশনার বলেন, গুলশান হামলার মামলা তদন্তে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। হামলার ইন্ধনদাতাদের গ্রেফতার এখন সময়ের ব্যাপার।
মামলার তদন্ত সংশ্লিষ্ট এক গোয়েন্দা কর্মকর্তা জানান, গুলশান হামলার নেপথ্যের অনেককেই আমরা শনাক্ত করেছি। হামলার সময় ঘটনাস্থলের আশপাশে থাকা বেশ কয়েকজন যুবকের তথ্য পাওয়া গেছে। যেকোনো সময় তাদের গ্রেফতার করা হবে বলেও জানান ওই কর্মকর্তা।
এদিকে, রোববার (৩১ জুলাই) গুলশান হামলার হলি আর্টিজানের হিসাবরক্ষকসহ চার প্রত্যক্ষদর্শী আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।
তবে গুলশান হামলার এক মাস পরও আতঙ্ক কাটেনি স্থানীয় বাসিন্দাদের।
নাঈমুল ইসলাম নামের এক ব্যবসায়ী বলেন, এখনো আতঙ্কে অনেকেই মার্কেটে আসছেন না। তবে দিন দিন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে।
হামলায় তিনটি জঙ্গি সংগঠনের নাম আসলেও জামাআতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ অর্থাৎ জেএমবি এ হামলা চালিয়েছে বলে নিশ্চিত হয়েছেন তদন্ত সংশ্লিষ্টরা।
তদন্ত সংশ্লিষ্টরা জানান, গুলশান হামলায় ৬ জঙ্গি সরাসরি অংশ গ্রহণ করলেও পুরো হামলায় আরো অনেকেই সহযোগী ছিল।
সিসিটিভির ফুটেজ বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, হামলার আগে আশপাশ এলাকায় আরো অনেকে অবস্থান নেয়। ফুটেজে সন্দেহভাজন ওইসব ব্যক্তিদের শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে বলেও জানিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তারা।
গত ১ জুলাই গুলশানের হলি আর্টিজানে সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে ১৭ বিদেশিসহ ২০ জনকে হত্যা করে।
এর আগে পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গেলে পুলিশের উপর হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা। এতে ডিবি পুলিশের সহকারী কমিশনার রবিউল ইসলাম ও বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাউদ্দিন নিহত হন।
পরে যৌথ বাহিনী অভিযান চালিয়ে সেখান থেকে ১৩ জনকে জীবিত উদ্ধার করে। অভিযানে সন্দেহভাজন হামলাকারী ৬ জনই নিহত হয়।