পাটুরিয়া ঘাট এলাকা থেকে: ‘আমার বাড়ির অর্ধেকটা পদ্মা নদীতে ভেঙে গেছে। এখন বন্যার পানিতে পদ্মার ঢেউ এসে ঘরে লাগছে। দিনে কিছুটা স্বতিতে থাকলেও রাতে পদ্মার ভয়ানক রুপ দেখা যায়। শোঁ শোঁ শব্দ আর ঢেউ এসে যখন বাড়িতে আচড়ে পড়ে তখন বুকের ভেতর মোচড় দিয়ে ওঠে।’
মঙ্গলবার (০২ আগস্ট) শিবালয় উপজেলার পাটুরিয়া ঘাটের অদূরে তেঘুরিয়া এলাকায় এসব কথা বলছিলেন আব্দুস সালাম।
শুধু আব্দুস সালাম নয়, তার মতো অনেকেই রাত জেগে আছেন। দোকানে বসে চা, বিড়ি, পান খেয়ে রাত পার করছেন। সবার মাঝেই পদ্মার ভাঙন আতঙ্ক।
মোয়াজ্জেম হোসেন নামে আরেক জন বাংলানিউজকে বলেন, ‘পদ্মায় কয়েক বার বাড়ি ভেঙেছে। এখন কোথায় যাবো ভেবে পাচ্ছি না। তাই সবাই মিলে পরামর্শ করছি কি করা যায়। চায়ের দোকানে বসে কথা বললে একটু ভালো লাগে। আর বাড়ি গেলেই বুকটা ভেঙ্গে যায়।’
এ কথাগুলো বলার সময় মোয়াজ্জেমের চোখে মুখে চিন্তার চাপ স্পষ্ট হয়ে ওঠে।
চায়ের দোকানদার বাদল মিয়া বলেন, ‘কখন যেন আমার বাড়িটাও পদ্মায় চলে যায়। চায়ের দোকানে আগের মতো বেচাকিনা নাই। কিভাবে যে চলি তাই ভাবছি।’