বঙ্গবন্ধুর জীবনের তিন-চতুর্থাংশ অতিবাহিত সময় ও জাতীয় চার নেতার জঘন্যতম হত্যাকাণ্ডের অন্যতম সাক্ষী ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার নতুন প্রজন্মের জন্য বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতার গবেষণাগার নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ফোরাম (বোয়াফ) সভাপতি কবীর চৌধুরী তন্ময়।
বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বঙ্গবন্ধু আদর্শ বাস্তবায়ন লীগ আয়োজিত মানববন্ধন ও সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই দাবি জানান।
কবীর চৌধুরী তন্ময় বলেন, মোঘল আমল থেকে শুরু করে দেশের মানুষের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ের শাসক বা রাষ্ট্রনায়কের শোষণ আর শাসনের জন্য করা অত্যাচার, আবার ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার অন্যতম সাক্ষী ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার। এই কারাগারে বসেই সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ’৫২-এর ভাষা আন্দোলনসহ ’৭১-এ স্বাধীনতা সংগ্রামের মাধ্যমে বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ স্বাধীন বাংলাদেশ অর্জন করার স্বপ্ন দেখেছিলেন। জীবনের তিন-চতুর্থাংশ সময় স্বাধীন বাংলার স্থপতিকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারেই বন্দি জীবন কাটাতে হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, কারাগারকে পৃথিবীর সবচেয়ে নিরাপদ স্থান মনে করা হলেও পৃথিবীর সবচেয়ে জঘন্যতম বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয় ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারের অভ্যন্তরে। ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর রাতের আঁধারে বন্দি থাকা অবস্থায়ই জাতীয় চার নেতা তাজউদ্দীন আহমদ, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, ক্যাপ্টেন মনসুর আলী, এ এইচ এম কামরুজ্জামানকে বুলেটের আঘাতে ঝাঝড়া করে হত্যা করে স্বাধীনতাবিরোধী ও তাদের দোসর চক্র।
তাই বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতার স্মৃতিবিজড়িত জাদুঘরের পাশাপাশি ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারকে গবেষণাগার নির্মাণ করে আগামী প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধুর কারাবাসের চিন্তা-চেতনা, কর্মপরিকল্পনা এবং জাতীয় চার নেতার স্বপ্ন-আদর্শ নতুন প্রজন্মের সামনে তুলে ধরা সময়ের দাবি।
শেখ মো. আবদুর রাজ্জাক শাকিলের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন ট্যারিফ কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মজিবুর রহমান, বঙ্গবন্ধু স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সভাপতি লায়ন মো. সাখাওয়াত হোসেন, বঙ্গবন্ধু আদর্শ বাস্তবায়ন লীগের উপদেষ্ট শেখ হাবিবুর রহমান প্রমুখ।