পাটুরিয়া ঘাট থেকে (মানিকগঞ্জ): তীব্র স্রোতের কারণে পদ্মা পার হতে পারছে না রো রো ফেরি বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান ও মতিউর রহমান। যেকারণে এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে পাটুরিয়া ঘাটে নোঙর করে রাখা হয়েছে ফেরি দুটি। এছাড়া যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ভাসমান কারখানা মধুমতিতে রয়েছে ফেরি কাবেরী।
মঙ্গলবার (০২ আগস্ট) রাত সাড়ে ১০টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভাসমান কারখানার নির্বাহী প্রকোশলী কর্মকর্তা এনামুল হক।
তিনি বলেন, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে হুট করে পানি বেড়ে যাওয়ায় নদীতে এখন তীব্র স্রোত। বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান ও মতিউর রহমান নামে দুইটি বড় ফেরি যানবাহন বোঝাই করে নৌপথ পার হতে ব্যর্থ হয়ে ফিরে এসেছে। এরপর থেকে পাটুরিয়া ঘাটে নোঙর করে রাখা হয়েছে।
এছাড়া ভাসমান কারখানা মধুমতিতে গত ১৮ জুলাই থেকে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে মেরামতে রয়েছে মাঝারি ফেরি কাবেরী। ইনজেকটর নামে নতুন একটি যন্ত্রাংশ সুইডেন থেকে ক্রয় করে এনে ওই ফেরিটি সচল করতে আরও সপ্তাহ খানেক সময় লাগবে বলেও জানান তিনি।
দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষের রাজধানীতে যোগাযোগের অন্যতম নৌ-রুট পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া। যানবাহন ও যাত্রী পারাপারে ছোট বড় মিলে এখন ১৩ টি ফেরি চলাচল করছে।
তবে, পানি বৃদ্ধি ও স্রোতের কারণে পদ্মা পার হতে ফেরিগুলোর আগের চেয়ে দ্বিগুণ সময় লাগছে। এতে করে এই নৌ-পথে চলাচলকারী যাত্রী ও যানবাহন শ্রমিকদের প্রতিনিয়তই পড়তে হচ্ছে দুর্ভোগে।
অপরদিকে, যানবাহন ও যাত্রী পারাপারের দুর্ভোগ লাঘবে দিন রাত ২৪ ঘণ্টা মেরামত কারখানায় ৪ জন প্রকৌশলীসহ ৩৫ জন শ্রমিক কাজ করে যাচ্ছেন।
প্রতিদিন এ নৌ-পথে ছোট বড় মিলে সাড়ে তিন থেকে চার হাজার যানবাহন পারাপার হলেও ঈদসহ অন্যান্য ছুটিতে এর সংখ্যা দাঁড়ায় দ্বিগুণে।