বগুড়ার ধুনট উপজেলায় অভিযান চালিয়ে বন্যাদুর্গতদের নামে সরকারি বরাদ্দ করা ত্রাণের ৮ বস্তা চাল কালোবাজার থেকে উদ্ধার করেছেন উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা (ইউএনও)।
এ ঘটনায় মোখলেছুর রহমান ওরফে আলী (৪০) নামে এক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
শনিবার বিকেলে ধুনট উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) রিয়াজুল ইসলাম বাদী হয়ে বিশেষ ক্ষমতা আইনে ধুনট থানায় মামলাটি করেন।
অভিযুক্ত মোখলেছুর রহমান ধুনট উপজেলার বানিয়াজান চল্লিশপাড়া গ্রামের মাহবুবুর রহমানের ছেলে এবং ভান্ডারবাড়ি বাজারের চাল ব্যবসায়ী।
পুলিশ জানায়, ধুনট উপজেলায় যমুনা নদীর পানি বেড়ে ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়নের ১১টি গ্রাম প্লাবিত হয়। এতে প্রায় সাড়ে ১০ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে দুর্বিষহ জীবনযাপন করছে। এ অবস্থায় বৃহস্পতিবার বিকেলে ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদ থেকে বন্যাদুর্গত এলাকার প্রত্যেক পরিবারের মাঝে ১০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হয়।
অভিযোগ রয়েছে, ব্যবসায়ী মোখলেছুর রহমান ভান্ডারবাড়ি ইউপি সচিব ফরহাদ হোসেনের সঙ্গে যোগসাজশে গরিবের ত্রাণের চাল ক্রয় করেন। গোপনে এই তথ্য জানতে পেরে শুক্রবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অভিযান চালিয়ে মোখলেছুরের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে ৮ বস্তায় ৪০০ কেজি চাল উদ্ধার করেন। পরে সেগুলো ইউনিয়ন পরিষদের গুদামে সংরক্ষণ করা হয়। অভিযানের পর থেকে ব্যবসায়ী মোখলেছুর পলাতক।
ধুনট উপজেলার ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) একেএম সরোয়ার জাহান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে কালোবাজার থেকে ৮ বস্তা ত্রাণের চাল উদ্ধার করা হয়েছে। তবে ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগেই ওই ব্যবসায়ী কৌশলে পালিয়ে গেছেন।
ধুনট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান জানান, সরকারি ত্রাণের চাল কালোবাজারে ক্রয়ের অভিযোগে মামলার আসামি মোখলেছুরকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।