বিএনপির জাতীয় কাউন্সিলের সাড়ে চার মাস পর বহুল প্রতিক্ষিত কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। অথচ এত বড় কমিটি গঠনের পরও উচ্ছ্বাস নেই দলটির নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে। নতুন নির্বাহী কমিটিতে পদ পাওয়ার পরও সেখানে আসেননি বিএনপি নেতারা।
রোববার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করে এমন চিত্রই দেখা গেছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, নতুন কমিটির কোন নেতাই সকাল থেকেই দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আসেননি। এমনকি কমিটি ঘোষণার পর কোন উচ্ছ্বাসও লক্ষ্য করা যায়নি।
অথচ আগে নয়াপল্টন কার্যালয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের আনাগোনা লক্ষ্য করা গেলেও কমিটি ঘোষণার পর দিনের চিত্র একেবারেই ভিন্ন রুপ ধারণ করেছে।
ধারণা করা হচ্ছে, বিশাল কমিটি দেয়া হলেও প্রত্যাশিত পদ না পাওয়ায় ক্ষুদ্ধ নেতারা কেউ নয়াপল্টন কার্যালয়ে আসেননি। পদ পাওয়ার পরও নেতারা যে সন্তুষ্ট না সেটারই বহি:প্রকাশ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে না আসা।
তবে সহ-দফতরের দায়িত্ব পাওয়া তিন নেতা যথাক্রমে তাইফুল ইসলাম টিপু, বেলাল হোসেন ও মুনির হোসেনকে নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে।
জানা গেছে দফতর নিয়ন্ত্রণে রাখা দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর নির্দেশেই সহ-দফতরের দায়িত্বে থাকা তিন নেতা আজ নয়াপল্টনে এসেছেন।
বিএনপির এত বড় কমিটি হলো অথচ কোন নেতাকর্মী কার্যালয়ে আসেনি কেন? প্রশ্ন করলে যে কোন পরিস্থিতিতে নয়াপল্টনে আসেন এমন এক কর্মী বলেন, আস্তে আস্তে হয়তো নেতারা আসবেন। কমিটির পরের দিন সবাইকে নয়াপল্টনে আসতে হবে এমনতো কোন নিয়ম নাই।
নয়াপল্টনে নিয়মিত আসা নতুন কমিটির সদস্য এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, রিজভী ভাই যখন সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব হন তখন এখানে তিল ধারনেরও ঠাঁই ছিল না। অথচ এত বড় কমিটি গঠনের পরও নেতারা তো দূরের কথা, কর্মীরাও আসেনি।
জেষ্ঠ্যতা লঙ্গন করে পদ দেয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে জাগো নিউজকে তিনি বলেন, ঘোষিত কমিটিতে বেশিরভাগ নেতার মধ্যে হতাশা কাজ করছে। অনেকেই নিজেকে গুটিয়ে রেখেছেন। সিনিয়রিটি না মানায় দৃশ্যপটে আসছেন না নতুন নেতারা।
এদিকে কমিটি ঘোষণার পরের দিন নয়াপল্টনে নেতাকর্মীদের উৎসবমুখর পরিবেশ থাকবে এমন আশায় সকাল থেকেই প্রিন্ট, ইলেক্ট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ার সংবাদ কর্মীরা সেখান উপস্থিত হয়। কিন্তু দুপুর নাগাদও কোন নেতাকর্মী নয়াপল্টনে না আসায় তাদের অনেককেই হতাশ হয়ে ফিরে যেতে হয়েছে।