রোববার মতিঝিল ফেডারেশন ভবনে আয়োজিত এক গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা জানান মন্ত্রী। বৈঠকের আয়োজন করে হোটেল, গেস্টহাউস, রেস্টুরেন্ট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ ও ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (তোয়াব)।
রাশেদ খান মেনন বলেন, ২০১৬ সালকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পর্যটন বছর ঘোষণা করেছেন। অনেকে অভিযোগ করছে বিদেশিরা চলে যাচ্ছে। তা ঠিক নয়। ২০১৪ সালের তুলনায় ২০১৫ সালে দেশে ১০ হাজার বিদেশি বেশি এসেছে। এ বছর আসা যাওয়া সমান রয়েছে। তবে আমি স্বীকার করবো যে ডিসেম্বর, জানুয়ারির বেশিরভাগ বিদেশি বুকিং বাতিল করেছে। এটার একটা প্রভাব পরবে। এ জন্য সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
পর্যটনমন্ত্রী বলেন, জঙ্গি হামলা হলেই যে এলাকা ছাড়তে হবে এটা ঠিক নয়। আমি ব্রিটিশ কাউন্সিলকে বলেছি, আমার দেশে জঙ্গি হামলা হয়েছে বলে তোমার দেশের সব মানুষকে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কিন্তু তোমাদের দেশেও জঙ্গি হামলা হয়েছে। আমাদের দেশের সব লোককে তোমাদের দেশ থেকে চলে আসতে বলবো। গুলশান থেকে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলো উচ্ছেদ করলে ব্যবসায় ক্ষতি হবে, লক্ষাধিক মানুষ কর্মসংস্থান হারাবে। উচ্ছেদ হলে শুধু হোটেল-মোটেলের ক্ষতি হবে না, সামগ্রিক অর্থনীতির ক্ষতি হবে। এটা সরকারের মাথায় আছে। এ ইস্যুতে সকলকে এগিয়ে এসে সমাধানের পথ বের করতে হবে।
ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, যেহেতু তেজগাঁও শিল্প এলাকা হয়ে গেছে, তাই গুলশান থেকে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলো সরিয়ে তেজগাঁওয়ে তাদের স্থান দেয়া হবে। এটা খুব বেশি দূরে হবে না বলে আশা করছি।
অনুষ্ঠানে তোয়াব সভাপতি তৌফিক উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি হোসেন খালেদ, ঢাকা মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর প্রমুখ।