দেশের পুঁজিবাজারে গেল সপ্তাহে বেড়েছে টাকার অংকের লেনদেনের পরিমাণ। একই সঙ্গে বেড়েছে লেনদেন হওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দর। তবে কমেছে প্রধান সূচক, বাজার মূলধন ও পিই রেশিও। সপ্তাহ শেষে প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) টার্নওভার বেড়েছে ৪ দশমিক ৬০ শতাংশ।
সপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গেল সপ্তাহে প্রথম কার্যদিবস রোববার (৭ আগস্ট) লেনদেন শুরুতে ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৩ লাখ ২৩ হাজার ৩০১ কোটি ৯১ লাখ ৭৭ হাজার ৪১৫ টাকায় এবং শেষ কার্যদিবসে বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) লেনদেন শেষে বাজার মূলধন কমে দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ২৩ হাজার ৯৩ কোটি ৯৫ লাখ ১৫ হাজার ৪৩৫ টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে ২০৭ কোটি ৯৬ লাখ টাকা বা শূন্য দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ।
গত সপ্তাহে টাকার অংকে লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৩১৮ কোটি ৪১ লাখ টাকা। যা এর আগের সপ্তাহের চেয়ে ১০১ কোটি বা ৪ দশমিক ৬০ শতাংশ বেশি। আগের সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ২১৬ কোটি ৫২ লাখ টাকা।
গত সপ্তাহে ডিএসইতে বেড়েছে দৈনিক গড় লেনদেনের পরিমাণ। গড়ে প্রতিদিন টার্নওভার দাঁড়িয়েছে হয়েছে ৪৬৩ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। যা তার আগের সপ্তাহে ছিল ৪৪৩ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
গত সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগরে সপ্তাহের চেয়ে ৩ পয়েন্ট কমে ৪ হাজার ৫৭৪ পয়েন্টে অবস্থান করছে এবং শরীয়া সূচক ডিএসইএস দশমিক ৪৪ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ১২৩ পয়েন্ট এবং ডিএস৩০ সূচক ১৪ পয়েন্টে কমে ১ হাজার ৭৮১ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
ডিএসইতে তালিকাভুক্ত মোট ৩৩০টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৬৯টির, কমেছে ১২১টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৮টির আর লেনদেন হয়নি ২টি কোম্পানির শেয়ার।
সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারের সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) শূন্য দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ কমে ১৪ দশমিক ৮৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
এদিকে গত সপ্তাহে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সিএএসপিআই সূচক কমেছে শূন্য দশমিক শূন্য ২ শতাংশ। সিএসই৩০ সূচক কমেছে শূন্য দশমিক ৯২ শতাংশ, সার্বিক সূচক সিএসসিএক্স কমেছে শূন্য দশমিক শূন্য ৩৭ শতাংশ, সিএসই৫০ সূচক কমেছে শূন্য দশমিক ৫৯ শতাংশ এবং শরীয়াহ সিএসআই সূচক কমেছে শূন্য দশমিক ২৮ শতাংশ।
সিএসইতে গড়ে মোট লেনদেন হয়েছে ২৮০টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৫৫টির, কমেছে ৯৩টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩২টির। টাকার অংকে লেনদেন হয়েছে ১২৮ কোটি ৭৪ লাখ টাকা।