যেখানে মানুষের পদচারণা সেখানেই বিজ্ঞাপণ দাতাদের হানা। বর্তমানে বিজ্ঞাপণ দাতাদের সবচেয়ে পছন্দের জায়গা অনলাইন। কিন্তু অনাহুত বিজ্ঞাপণে বিরক্ত হন ব্যবহারকারীরা, তাই অনেককেই বেছে নিতে দেখা যায় বিজ্ঞাপণ বন্ধ করার সফটওয়্যার। অ্যাডব্লকপ্লাস, তেমনই একটি সফটওয়্যার। বিজ্ঞাপণ প্রদর্শন বন্ধে এটি ব্যবহৃত হয়।
এদিকে আবার বিজ্ঞাপণ-বান্ধব প্লাটফর্ম হিসেবে বিজ্ঞাপণ দাতাদের পছন্দের শীর্ষে আছে সামাজিক মাধ্যম ফেসবুক। কিন্তু তাদের কাজে বাঁধা হয়েছে দাড়াচ্ছে অ্যাডব্লকিং প্রতিষ্ঠানগুলো, অ্যাডব্লক প্লাস যার মধ্যে অন্যতম। আর এ নিয়েই এখন ফেসবুক আর অ্যাডব্লক প্লাসের মধ্যে শুরু হয়েছে ইদুঁর-বিড়ালের লড়াই।
একজন যখন বিজ্ঞাপণ প্রদর্শনের নতুন কৌশল তৈরি করে তখন আরেকজন তা বন্ধে সদা সচেষ্ট। এরই ধারাবাহিতকতায় গত বৃহস্পতিবার অ্যাডব্লক প্লাস ব্লগপোষ্টের মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের জন্য একটি কোড প্রকাশ করে। পোষ্টে বলা হয়, তাদের সফটওয়্যারে ওই কোডটুকু যোগ করে দিলেই বন্ধ হবে ফেসবুক পেজে বিজ্ঞাপণ প্রদর্শন।
অ্যাডব্লক প্লাসের এমন কান্ডে বেজায় নাখোশ ফেসবুক।
সোশ্যাল জায়ান্ট বলছে, এই কোড যোগ করলে শুধু বিজ্ঞাপণ প্রদর্শন বন্ধ হবে তা নয়, একইসাথে এটি ব্যবহারকারীর ফিডে তার অনেক বন্ধু এবং পেজের পোষ্ট প্রদর্শনেও বাঁধা দিবে।
অ্যাডব্লক প্লাসের কমিউনিকেশন ম্যানেজার বেন উইলিয়াম অবশ্য সাফ জানিয়ে দিয়েছে, যদি সত্যি এমনটি ঘটে তাহলে সেটা ফেসবুকের সমস্যা, আমাদের নয়।
ফেসবুক অবশ্য কিছুটা নরম সুরে আরেকটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, বিজ্ঞাপণ বন্ধ কখনোই একটি কার্যকরী পন্থা হতে পারে না। বরং আমাদের উচিত বিজ্ঞাপণ পছন্দ করনীয় একটি টুল তৈরি করে তা ব্যাবহারকারীদের হাতে তুল দেয়া। মানুষই সিদ্ধান্ত নিক তারা কোন বিজ্ঞাপণ দেখবে, আর কোনটি দেখবে না।
জবাবে ব্লগপোষ্টের মাধ্যমে বেন উইলিয়াম জানিয়েছে, বিজ্ঞাপণ প্রদর্শনকারী এবং বিজ্ঞাপণ প্রতিরোধকারীদের মধ্যে চলতে থাকা ইদুঁর-বিড়ালের এই লড়াই নতুন কিছু নয়। এটা আগেও ছিল আর ভবিষ্যতেও চলবে। তাই ফেসবুক যদি আমাদের কাজে বাঁধা হয়ে দাড়ায় তাহলে অ্যাডব্লকিং সম্প্রদায় তার কড়া জবাব দিবে।
এর জবাবে ফেসবুক এবার অ্যাডব্লকিং সম্প্রদায়কে উদ্দেশ্য করে কিছু বলেনি ঠিক তবে ব্যবহারকারীদেরকে জানিয়ে দিয়েছে, কেউ অ্যাড ব্লকিং সফটওয়্যার ব্যবহার করলে তাদের নিউজফিডে বিজ্ঞাপন প্রদর্শিত হবে।