দু’জনেই বিনোদন জগতের মানুষ। কাজের ক্ষেত্রেই পরিচয়। এরপর বন্ধুত্ব। বলছি নন্দিত আলোকচিত্রী আরিফ আহমেদ এবং আলোচিত মডেল শাবনাজ সাদিয়া ইমির কথা।
ছয় বছর আগেও আরিফ আহমেদের ক্যামেরায় অনেকগুলো ফটোশুট করেন ইমি। তবে সময়ের পালাবদলে দু’জনের কাজেই বাড়তি ব্যস্ততা আসে। আরিফ ক্যামেরা হাতে দেশান্তরে ছুটেছেন ছবির নেশায়, কর্ম ব্যস্ততার খাতিরে। ইমি মডেলিং ছাড়াও হেঁটেছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের র্যাম্প মডেলিংয়ে স্টপার হিসেবে। তবে সব ব্যস্ততাকে পাশ কাটিয়ে, বন্ধুত্বের টানে ছ্য় বছর পর আরিফের ক্যামেরায় আবারো ফটোশুট করলেন ইমি।
ইমি যেমনটা বললেন, ‘অনেকদিন ধরে চাচ্ছিলাম যে একেবারেই নিজের জন্য একটি ফটোশুট করবো। এতো কাজ করি যে নিজের জন্য কিছু সময় রাখা মুশকিল হয়ে পড়ে। এরমধ্যে আমি যখন সময় পাই তখন আবার আরিফের সময় হয়ে ওঠে না। এছাড়া তিন মাস পর থেকেই আমার পরীক্ষা। সেজন্য কিছুটা বিরতিতে যাবো। তাই অনেক অপেক্ষার পর দু’জনে মিলে ক`দিন আগে একটা দিন ফিক্সড করি শুট করার জন্য। এবং সেদিন উত্তরার দিয়াবাড়িতে শুট হয়।’
দিয়াবাড়িতে আরিফের ক্যামেরায় ইমি
ইমি আরো বলেন, ‘আমরা যেখানে শুট করি সেই লোকেশনটা একেবারেই ন্যাচারাল। যদিও দিয়াবাড়ি স্পটগুলো এখন মানুষের কাছে খুব পরিচিত। কিন্তু আরিফ ওর ক্যামেরায় ছবিগুলো এমন ভাবে ক্যাপসার করেছে সেটা অন্যকারো পক্ষে সম্ভব ছিল না। আমি যেমন ছবি চেয়েছিলাম আরিফ আমাকে ঠিক সেভাবেই আউটপুট দিয়েছে।’
ইমির ভাষ্য, ‘আরিফের সঙ্গে তার পরিচয় অনেক বছরের। সে আরিফের খুব ভালো বন্ধু। তাছাড়া আরিফের ছবির হাত জাদুকরের মত মনে হয়। ওর প্রতিটা ক্লিকই যেন ম্যাজিক! মোটকথা বন্ধু হলেও একজন পেশাদার আলোকচিত্রী হিসেবে আরিফের তুলনা হয়না।’
এদিকে আরিফ আহমেদ বলেন, ‘অনেক দিনপর ইমি আমার ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়েছে। খুব ভালো লেগেছে শুট করে। সে যেমনটা চেয়েছে তাকে তেমন ছবি দিয়েছি।’
আরিফের ক্যামেরায় প্রকৃতির মাঝে ইমি
তিনি বলেন, ‘আমার ফটোগ্রাফি ক্যারিয়ারের শুরুর দিকটায় প্রথম ফটোশুটে সাক্ষাৎকার প্রকাশ হয় ইমির। এরপর ইমির সঙ্গে বহু কাজ করেছি। ওর সঙ্গে আমার বোঝাপড়া চমৎকার। এছাড়া কাজের প্রতি সে খুবই হেল্পফুল। আগামীতে আরো ভালো কাজ নিয়ে আমরা হাজির হবো।’
জনপ্রিয় এ আলোকচিত্রী আরো বলেন, ‘দেশ-বিদেশের অনেক মানুষের সঙ্গে পরিচয় হয়েছে। ছোটবেলা থেকে যেসব মানুষকে তারকা হিসেবে দেখেছি তাদের সঙ্গে বর্তমানে আমার একেবারেই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। এটা আমার জন্য অনেক বড় পাওয়া। সকলের অনেক দোয়া-ভালোবাসা পেয়েছি। ফটোগ্রাফি নিয়ে আগামীতে আমার আরো কিছু পরিকল্পনা আছে। আশা করছি সেগুলো পূরণে সবাই আমার পাশে থাকবেন।’