জঙ্গিবাদকে স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তির নতুন সংস্করণ উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের অন্যতম সদস্য ও শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার সব ষড়যন্ত্রে ব্যর্থ হয়ে দেশি-বিদেশি অপশক্তি সম্মিলিতভাবে জঙ্গিবাদের নামে দেশে অপকর্ম চালানোর পায়তারা করছে।
তিনি বলেন, যে পাকিস্তানে ড্রোন হামলা হয়, সে পাকিস্তান এদেশে সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প ছড়িয়ে দিয়ে জঙ্গিবাদ সৃষ্টি করছে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশকে একটি অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করার চক্রান্ত চলছে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪১তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে সোমবার আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিল্পমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বঙ্গবন্ধু পরিষদ, বুয়েট শাখা বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় অডিটরিয়ামে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। বুয়েট শাখার সভাপতি অধ্যাপক ড. নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক ছিলেন বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. এস এম আনোয়ারা বেগম।
এতে অন্যদের মধ্যে ফারইস্ট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ও বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান শেখ কবির হোসেন, বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মোল্লা মোহাম্মদ আবু কাওছার, বুয়েটের ভিসি অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. মিজানুর রহমান, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ বুয়েট শাখার সভাপতি শুভ্র জ্যোতি টীকাদার ও সাধারণ সম্পাদক আবু সাইদ কনক বক্তব্য রাখেন।
আমির হোসেন আমু বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দারিদ্র্য বিমোচন, খাদ্য নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য সেবা, শিক্ষাসহ সামাজিক নিরাপত্তা সূচকে বাংলাদেশের ঈর্ষনীয় অগ্রগতি অর্জন ষড়যন্ত্রকারীদের গাত্রদাহের মূল কারণ। এ কারণে যারা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করেছিল, তারাই মধ্যযুগীয় কায়দায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বারবার হত্যার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। আওয়ামী লীগকে নেতৃত্ব ধ্বংস করার হীন ষড়যন্ত্র হিসেবে খালেদা জিয়া-নিজামী সরকারের প্রত্যক্ষ মদদে ২১ আগস্ট শেখ হাসিনার ওপর গ্রেনেড হামলা চালানো হয়েছিল।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, ১৬ কোটি মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য আল্লাহ তায়ালা শেখ হাসিনাকে বাঁচিয়ে রেখেছেন। উত্তরবঙ্গে দু’জন রাষ্ট্রপতি থাকার পরও যেখানে বছরে দু’বার মঙ্গা হতো, সেখানে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আশার পর সে মঙ্গা বিতাড়িত হয়েছে। যতদিন দেশের মানুষের ভাগ্যের কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন না হবে, ততদিন মহান আল্লাহ শেখ হাসিনাকে বাঁচিয়ে রাখবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।