মঙ্গলবার রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “অনেক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকগণ যে পরিমাণ চার্জ আদায় করেন তা সাধারণ মানুষের ক্ষমতার বাইরে। তাই আপনাদের চিকিৎসা ব্যয় কমানোর উদ্যোগ নিতে হবে।”
বাংলাদেশ কমিউনিটি অফথালমোলজিক্যাল সোসাইটির ষষ্ঠ দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে বক্তব্য দিচ্ছিলেন রাষ্ট্রপতি।
আবদুল হামিদ বলেন, “আমাদের মনে রাখতে হবে চিকিৎসা সেবা গ্রহণকারীদের অনেকেরই সামর্থ্য কম এবং খরচের ভয়ে অনেকেই চিকিৎসা সেবা নিতে এগিয়ে আসে না। তাদের জন্য প্রয়োজন বিশেষ সুবিধা ও কম খরচে চিকিৎসা।”
মাঠ পর্যায়ে চক্ষু পরিচর্যার সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণের লক্ষ্যে ২০০৭ সনের ৫ অগাস্ট বাংলাদেশ কমিউনিটি অফথালমোলজিক্যাল সোসাইটি যাত্রা শুরু করে।
রাষ্ট্রপতি চক্ষু চিকিৎসকদের আধুনিক প্রযুক্তির সঙ্গে পরিচিত থাকার পরামর্শ দিয়ে বলেন, “আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞান চক্ষু রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা উভয় ক্ষেত্রে নতুন নতুন পদ্ধতি আবিষ্কার করতে সক্ষম হয়েছে। এছাড়া প্রতিনিয়ত চিকিৎসা ক্ষেত্রে নতুন নতুন প্রযুক্তি আসছে। তাই আপনাদের সব সময় সর্বশেষ প্রযুক্তি ও চিকিৎসা পদ্ধতির সাথে পরিচিতি থাকতে হবে।
“অহেতুক পরীক্ষা-নিরীক্ষার নামে রোগীরা যাতে প্রয়োজনীয় সেবা থেকে বঞ্চিত না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। মনে রাখবেন মানুষ বিভিন্ন রোগ থেকে আরোগ্য লাভের জন্য সৃষ্টিকর্তার পরই ডাক্তারদের উপর ভরসা করে থাকেন। তাই তাদের আস্থার জায়গাটি অক্ষুন্ন রাখা আপনাদের পবিত্র দায়িত্ব।”
চিকিসৎকদের তাদের দায়িত্বের কথাও স্মরণ করিয়ে দিয়ে আবদুল হামিদ বলেন, “আপনারা আজকে যে অবস্থানে আছেন, সেখানে পৌঁছাতে সাধারণ মানুষের অবদানও কিন্তু কম নয়। কারণ তাদের ট্যাক্সের টাকায়ই মেডিকেল কলেজের খরচ জোগানো হয়। তাই তাদেরকে চিকিৎসা সেবা দেওয়া আপনাদের নৈতিক দায়িত্ব ও কর্তব্য।”
রাষ্ট্রপতি বলেন, “চক্ষু চিকিৎসার বিষয়টি সাধারণ মানুষের কাছে এখনও বিশেষজ্ঞ সেবা হিসেবে বিবেচিত। কমিউনিটি পর্যায়ে চক্ষু চিকিৎসা সেবা প্রদানের লক্ষ্যে তৃণমূল পর্যায়ে ক্যাম্প পরিচালনার উদ্যোগের বিষয়টি গুরুত্বের সাথে ভাবতে হবে।”
সরকার প্রতিষ্ঠিত কমিউনিটি ক্লিনিকে চক্ষু পরিচর্যার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করার কথা উল্লেখ করে আবদুল হামিদ বলেন, ২০০৯ সালে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গণতান্ত্রিক সরকারের উদ্যোগে প্রতি ৬০০০ জনগোষ্ঠীর জন্য একটি করে কমিউনিটি ক্লিনিক চালু করা হয়।এসব ক্লিনিক থেকে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর দোরগোড়ায় চিকিৎসা সেবা পৌঁছে দেওয়া হয়।
“এই কমিউনিটি ক্লিনিকসমূহে প্রাথমিক চক্ষু পরিচর্যার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা হলে জনগণ আরও উন্নত সেবা পাবে বলে আমি মনে করি।”
অনুষ্ঠানে চক্ষু চিকিৎসায় অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৪ জন চিকিৎসককে সন্মাননা দেওয়া হয়।
কমিউনিটি অফথালমোলজিক্যাল সোসাইটির সভাপতি শরফুদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, প্রধানমন্ত্রীর সাবেক উপদেষ্টা সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী, বিএসএমএইউর উপাচার্য কামরুল হাসান খান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক দীন মোহাম্মদ নুরুল হক, সোসাইটির মহাসচিব ইনামুর রহমান চৌধুরী।
চিকিসৎকদের তাদের দায়িত্বের কথাও স্মরণ করিয়ে দিয়ে আবদুল হামিদ বলেন, “আপনারা আজকে যে অবস্থানে আছেন, সেখানে পৌঁছাতে সাধারণ মানুষের অবদানও কিন্তু কম নয়। কারণ তাদের ট্যাক্সের টাকায়ই মেডিক্যাল কলেজের খরচ জোগানো হয়। তাই তাদেরকে চিকিৎসা সেবা দেওয়া আপনাদের নৈতিক দায়িত্ব ও কর্তব্য।”
রাষ্ট্রপতি বলেন, “চক্ষু চিকিৎসার বিষয়টি সাধারণ মানুষের কাছে এখনও বিশেষজ্ঞ সেবা হিসেবে বিবেচিত। কমিউনিটি পর্যায়ে চক্ষু চিকিৎসা সেবা প্রদানের লক্ষ্যে তৃণমূল পর্যায়ে ক্যাম্প পরিচালনার উদ্যোগের বিষয়টি গুরুত্বের সাথে ভাবতে হবে।”
সরকার প্রতিষ্ঠিত কমিউনিটি ক্লিনিকে চক্ষু পরিচর্যার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করার কথা উল্লেখ করে আবদুল হামিদ বলেন, ২০০৯ সালে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গণতান্ত্রিক সরকারের উদ্যোগে প্রতি ৬০০০ জনগোষ্ঠির জন্য একটি করে কমিউনিটি ক্লিনিক চালু করা হয়।এসব ক্লিনিক থেকে দরিদ্র জনগোষ্ঠির দোড়গোড়ায় চিকিৎসা সেবা পৌঁছে দেওয়া হয়।
“এই কমিউনিটি ক্লিনিকসমুহে প্রাথমিক চক্ষু পরিচর্যার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা হলে জনগণ আরও উন্নত সেবা পাবে বলে আমি মনে করি।”
অনুষ্ঠানে চক্ষু চিকিৎসায় অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ ১৪ জন চিকিৎসককে সন্মাননা দেওয়া হয়।
কমিউনিটি অফথ্যালমোলজিক্যাল সোসাইটির সভাপতি শরফুদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, প্রধানমন্ত্রীর সাবেক উপদেষ্টা সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী, বিএসএমএইউর উপাচার্য কামরুল হাসান খান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক দীন মোহাম্মদ নুরুল হক, সোসাইটির মহাসচিব ইনামুর রহমান চৌধুরী।