সারা দেশের ন্যায় যশোর বোর্ডও বৃহস্পতিবার এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করে। কিন্তু সেই ফলাফলে খুলনার ৪টি সরকারি কলেজের ২১১ জন শিক্ষার্থীর ফলাফল ঘোষণা করা হয়নি। ঘোষিত ফলাফলে তাদের কাউকে অনুপস্থিত, আবার কারও ফল স্থগিত দেখানো হয়েছে।
ফলে উদ্বেগ আর উৎকষ্ঠার মধ্যে দিন কাটছে এসব ফল প্রার্থী শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের। তবে বোর্ড কর্তৃপক্ষ বলছে সোমবারের মধ্যেই সব ঠিক হয়ে যেতে পারে।
কলেজগুলোর অধ্যক্ষদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, খুলনার সরকারি সিটি কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের ১৩ জন, বাণিজ্য বিভাগের ৬৪ জন এবং মানবিক বিভাগের ১১ জন পরীক্ষার্থীর ফলাফল আসেনি। এর মধ্যে ৭১ জনকে পরীক্ষায় অনুপস্থিত এবং ১৮ জনের ফল স্থগিত দেখানো হয়েছে। অবশ্য ফলাফল স্থগিত দেখানো ১৮ জনের মধ্যে ৯ জন সব বিষয়ে পরীক্ষা দেয়নি।
একইভাবে আযম খান সরকারি কমার্স কলেজের ১৭ জন শিক্ষার্থীকে অনুপস্থিত ও ৩ জনের ফল স্থগিত দেখানো হয়েছে। খুলনা সরকারি মহিলা কলেজের ৪ জনের ফল স্থগিত ও ৫ জনকে অনুপস্থিত দেখানো হয়েছে। সরকারি সুন্দরবন কলেজে ফল স্থগিত ও অনুপস্থিত দেখানো হয়েছে ১০৩ জনকে। বাকিরা পরীক্ষায় অংশ নেয়নি।
সিটি কলেজে ফল পুনঃনিরীক্ষার জন্য আবেদন করছিলেন অভিভাবক কিউ এস ইসলাম মুক্ত।
তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার থেকে মা-মেয়ের কান্না থামানো যাচ্ছে না। ফলাফলে অনুপস্থিত দেখে কাঁদতে কাঁদতে মেয়ের হাঁপানি শুরু হয়েছে। তাকে হাসপাতালে রেখে ফলাফল উদ্ধারের চেষ্টা করছি।
সিটি কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর মনিরুল ইসলাম সরদার বলেন, ৬০ জন শিক্ষার্থী তাদের ফলাফল ভুল দেখানো হয়েছে বলে আবেদন করেছে। আমরা যশোর বোর্ডের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছি। রোববার যশোর বোর্ডে এসব আবেদন নিয়ে প্রতিকারের বিষয়ে কথা বলবো।
আযম খান সরকারি কমার্স কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর কালিপদ মজুমদার জানান, পরীক্ষার কেন্দ্র থেকে তথ্য পাঠাতে ভুলের কারণে এই সমস্যা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বোর্ডে যোগাযোগ করা হয়েছে। তারা ফল পুনঃনিরীক্ষণ করার আশ্বাস দিয়েছে।
নির্ধারিত সময়ে ফল না আসার ব্যাপারে যশোর শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মাধব চন্দ্র রুদ্র বলেন, মার্কস ঠিকমতো পাঠাতে না পারা, হাজিরা পত্রের বিষয়গুলোতে ভুল থাকাসহ অনেক বিষয়ের মার্কস শিক্ষকরা ঠিকমতো অনলাইনে পাঠাতে পারেনি। এসব ফলগুলো আমরা স্থগিত রেখেছি।
শিক্ষার্থীরা রোববার যোগযোগ করলে সোমবারের মধ্যে সবাই ফল পেয়ে যাবে। আর যাদের অনুপস্থিত দেখানো হয়েছে তাদের হাজিরা খাতার ফটোকপিসহ বোর্ডে যোগাযোগ করতে হবে।