বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতা পদক বাতিলের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে তার দ্রুত বাস্তবায়ন চায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।
শনিবার রাজধানীর গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজ ছাত্রলীগ আয়োজিত শোক দিবসের আলোচনা সভায় ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. সাইফুর রহমান সোহাগ এ দাবি জানান।
তিনি বলেন, আমরা ইতোমধ্যে পত্রপত্রিকার মাধ্যমে জেনেছি, জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতা পদক বাতিল করা হচ্ছে। আমরা বাংলাদেশ ছাত্রলীগ এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই। সেই সঙ্গে সরকারের কাছে দাবি জানাই এই সিদ্ধান্ত দ্রুত বাস্তবায়ন করুন। কারণ কোন খুনির নামে স্বাধীনতা পদক থাকতে পারে না। খুনিকে এই পদক দিয়ে তৎকালীন সরকার এই পদকের ‘স্বাধীনতা’ অবমূল্যায়ন করেছে।
সাইফুর রহমান সোহাগ বলেন, ২০০৩ সালে তৎকালীন বিএনপি-জামায়াত সরকার জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জিয়াউর রহমানকে এই পদক প্রদান করে। প্রতি বছর একাধিক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে এ পদক দিলেও সে বছর জাতির জনকের সমকক্ষ করতে জিয়াকেও পদক দেয়া হয়। এটা ছিল বিএনপি-জামায়াত সরকারের হীনচেষ্টা।
তিনি বলেন, জাতির জনককে সে সময় পদক দিয়ে খাটো করা হয়েছে। কারণ যিনি রাষ্ট্রের জনক তার কোন পদক দরকার হয় না। তবে সেই সময়ে বঙ্গবন্ধুর পরিবার ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ সেই পদক প্রত্যাখ্যান করেছিল। কয়েকদিন ধরে পত্রপত্রিকায় দেখলাম খুনি জিয়ার পদক প্রত্যাহার করা হচ্ছে। এটা সারাবাংলা ছাত্র সমাজ তথা ছাত্রলীগের জন্য অত্যন্ত সুখবর। আমরা স্বাগত জানাই এবং দ্রুত বাস্তবায়ন চাই।
ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক এসএম জাকির হোসাইন শোকের মাসের স্মৃতি চারণ করে বলেন, আগস্ট মাস আমাদের জন্য শোকের মাস-একটি কলঙ্কময় মাস। জাতির জনক আজকে বঙ্গবন্ধু হতে পারতেন না, যদি না পেছন থেকে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুনেসা মুজিব সহযোগিতা করতেন। রাজনীতি করতে গিয়ে জাতিক জনককে দীর্ঘ সময় জেলে থাকতে হয়েছে। সবকিছু বেগম মুজিব সামলিয়েছেন। তাকে অনুপ্রেরণা ও সাহস জুগিয়েছেন। আজকে যেসব বোনেরা ছাত্রলীগ করেন, তাদেরকে বঙ্গমাতার আদর্শ ধারণ করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, আজকে দেশরত্ম শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। সকল ক্ষেত্রে উন্নয়নের ছোয়া লেগেছে। নারীদের জয়জয়কার।
কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি ফারজানা আক্তার সুর্পনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট তারানা হালিম। বিশেষ অতিথি ছিলেন, গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর শামসুন্নাহার বেগম, বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও শহীদ শহিদুল্লাহ কায়সারের মেয়ে শমী কায়সার, কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মাছুমা আক্তার পলি।