আগামী ২ অক্টোবর রাজধানীবাসীর হাতে স্মার্ট আইডি কার্ড (উন্নত জাতীয় পরিচয়পত্র) তুলে দেওয়ার কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী সেখ হাসিনা।
সোমবার নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব সিরাজুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সিরাজুল ইসলাম বলেন, নাগরিকদের হাতে স্মার্ট কার্ড তুলে দেওয়ার সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। কিছুদিন আগে প্রধানমন্ত্রীর কাছে সময় চাওয়া হয়েছিল এর উদ্বোধনের জন্য। স্মার্ট কার্ড বিতরণের সম্মতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগামী ২ অক্টোবর এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হবে।
সচিব আরো বলেন, আমরা প্রথমে ঢাকার নাগরিকদের স্মার্ট কার্ড দেবো। আমাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী, প্রথমে রাজধানী ঢাকায় বিতরণ করা হবে। পরে পর্যায়ক্রমে সিটি করপোরেশন, জেলা-উপজেলা, পৌরসভা ও সবশেষে ইউনিয়ন পর্যায়ে স্মার্ট কার্ড বিতরণ করা হবে।
সচিব সিরাজুল ইসলাম জানান, এই স্মার্ট কার্ডের মাধ্যমে অনেক সুবিধা পাওয়া যাবে, যেমন : আয়কর শনাক্তকরণ নম্বর, ড্রাইভিং লাইসেন্স, পাসপোর্ট, চাকরির আবেদন, সম্পত্তি ক্রয়-বিক্রয় সহ আরো অনেক কিছু।
এ বিষয়ে ইসির এনআইডি অণুবিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সুলতানুজ্জামান মো. সালেহ উদ্দিন বলেন, স্মার্ট কার্ড বিতরণের জন্য আমরা রাজধানীর প্রত্যেক ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে একাধিক ক্যাম্পে স্মার্ট কার্ড বিতরণ করব। তবে স্মার্ট কার্ড পেতে হলে পুরনো প্লাস্টিকের কার্ডটি আমাদের ফেরত দিতে হবে।
তিনি বলেন, বর্তমানে দেশে প্রায় ১০ কোটি ভোটার আছে। এদের মধ্যে প্রায় ৯ কোটি ভোটারের লেমিনেটিং করা জাতীয় পরিচয়পত্র রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, আমাদের এই স্মার্ট কার্ড পৃথিবীর সবচেয়ে আধুনিক প্রযুক্তিগত সুবিধাসম্পন্ন হবে। এই স্মার্ট কার্ডে ২৫ ধরণের নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে, যা কেউ কখনোই নকল করতে পারবে না।
তিনি বলেন, পৃথিবীর প্রায় ৫০টি দেশ স্মার্ট কার্ড খাকলেও আমাদের এ প্রযুক্তি কেউ ব্যবহার করেনি। আর এই স্মার্ট কার্ড ব্যয়বহুলও বটে। প্রতিটি স্মার্ট কার্ড প্রস্তুত করতে দুই ডলার করে খরচ হয়েছে। এ কার্ডের মেয়াদ হবে ১০ বছর।