1. sardardhaka@yahoo.com : adminmoha :
সোমবার, ২০ মার্চ ২০২৩, ০৫:৫৭ অপরাহ্ন

মুক্ত দাউদ মার্চেন্টের অবস্থান নিয়ে অস্পষ্টতা

মহাযুগ নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ৭ নভেম্বর, ২০১৬
  • ১৬৭ বার

f0524f8debb8fc31b556f1f4a206ffa3-downloadপ্রতিবেদক : ভারতীয় সন্ত্রাসী আবদুর রউফ ওরফে দাউদ মার্চেন্টকে কারাগার থেকে ছেড়ে দেওয়ার কথা জানিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ। গতকাল রোববার বিকেলে তাঁকে কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়।  তবে ছাড়া পেয়ে তিনি কোথায় আছেন, সে বিষয়ে কোনো সংস্থাই কিছু বলছে না।

কারাগারের জ্যেষ্ঠ জেল সুপার জাহাঙ্গীর কবির প্রথম বলেন, ‘রোববার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে দাউদ মার্চেন্টকে মুক্তি দেওয়া হয়। এরপর তাঁর অবস্থান কোথায়, সে বিষয়ে আমাদের কাছে কোনো তথ্য নেই।’
কারাগার থেকে দাউদ কীভাবে বেরিয়ে গেছেন, জানতে চাইলে জাহাঙ্গীর কবির বলেন, ‘কারাগারের অফিস কক্ষ থেকে তাঁকে ছেড়ে দেওয়ার পর তিনি কীভাবে গেছেন, সেটি জানা নেই। তাঁর মতো শত শত আসামি আছেন, যাঁরা ছাড়া পাচ্ছেন প্রতিদিন। কে কোন দিকে যান, তা দেখা সম্ভব নয়।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল আজ সোমবার সাংবাদিকদের বলেন, তাঁর সাজাভোগের মেয়াদ শেষ হয়েছে। এ জন্য ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পুশ ব্যাক-পুশ ইনের বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না। তিনি (দাউদ) মুক্ত ব্যক্তি।
তবে গত ১৮ জানুয়ারি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তাঁর কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেছিলেন, ‘যে বিদেশিদের সাজার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, তাঁদের কয়েকজন কারাগারে রয়েছেন। যাঁদের সাজার মেয়াদ শেষ হয়েছে, তাঁদের ফেরত পাঠাতে আমরা সংশ্লিষ্ট দেশের দূতাবাসগুলোতে যোগাযোগ করি। দাউদ ইব্রাহিমের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে পরিচিত দাউদ মার্চেন্টের ক্ষেত্রেও সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিনিময়ের কিছু নেই।’
মুম্বাইয়ের সংগীত প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান টি-সিরিজের মালিক গুলশান কুমারকে ১৯৯৭ সালের ১২ আগস্ট হত্যা করা হয়। ওই মামলায় সন্দেহভাজন ভাড়াটে খুনি দাউদ মার্চেন্ট গ্রেপ্তার হলে ২০০২ সালে তাঁকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত। রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন দাউদ। ২০০৯ সালে ১৪ দিনের প্যারোলে মুক্তি পাওয়ার পর পালিয়ে যান তিনি। ওই বছরের ২৮ মে ভারত সীমান্তবর্তী বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে এক সহযোগীসহ দাউদকে গ্রেপ্তার করে বাংলাদেশের পুলিশ। ঘটনায় অনুপ্রবেশের অভিযোগে পাসপোর্ট আইনে মামলা হয় তাঁর বিরুদ্ধে।
২০১৪ সালের ডিসেম্বরে দাউদ জামিনে কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তি পান। মুক্তির পরপরই তাঁকে আটক করে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। ওই বছরের ৩ ডিসেম্বর আদালতে দেওয়া ডিবির প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, সন্দেহজনকভাবে ঘোরাঘুরি করায় দাউদ মার্চেন্টকে আটক করা হয়। তাঁর সঙ্গে তখন পাসপোর্ট ছিল না। পুলিশের ধারণা, বাংলাদেশে কোনো অপরাধ সংঘটন করতে বা ভারতে বড় কোনো অপরাধ করে তিনি পালিয়ে এসেছেন। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে তাঁকে রিমান্ডে নেওয়া প্রয়োজন। শুনানি শেষে আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন। ৩ নভেম্বর দাউদ মার্চেন্টকে ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারার অভিযোগ থেকেও অব্যাহতি দেন আদালত।

এ জাতীয় আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2020 Mohajog