প্রতিবেদক : ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬০ ধারার অপব্যবহার রোধে প্রয়োজনীয় আইনগত পদক্ষেপ নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট। সোমবার বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে এই রুল দেন।
ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬০ ধারায় পুলিশ অফিসারের সাক্ষী তলবের ক্ষমতার বিষয়ে বলা আছে।
৬ নভেম্বর গাজীপুর জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) উপপরিদর্শক (এসআই) মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী ১৬০ ধারায় আশিস কুমার শর্মা নামের এক ব্যবসায়ীকে নোটিশ দেন। নোটিশে প্রাপককে ১৯ নভেম্বর জেলা ডিবির কার্যালয়ে উপস্থিত হতে বলা হয়।
ওই নোটিশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ১৭ নভেম্বর একটি রিট হয়। রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আজ রুলসহ আদেশ দেন আদালত।
রুলে ওই নোটিশ কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। স্বরাষ্ট্রসচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, ডিবির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাসহ পাঁচ বিবাদীকে দুই সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এ ছাড়া নোটিশ প্রদানকারী এসআই মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীকে আগামী ৪ ডিসেম্বর আদালতে হাজির হতে বলেছেন আদালত।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মো. উজ্জ্বল হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তাপস কুমার বিশ্বাস।
উজ্জ্বল হোসেন বলেন, নিয়মিত মামলা তদন্তের স্বার্থে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬০ ধারা অনুসারে তদন্ত সংস্থা যে-কাউকে তলব করতে পারে। তবে নিয়মিত মামলা ছাড়া তলব করা যায় না। কিন্তু ব্যবসায়ী আশিস কুমার শর্মাকে নিয়মিত মামলার বাইরে তলব করা হয়েছে।