প্রতিবেদক : নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি মনোনিত প্রার্থী হলেন সাখাওয়াত হোসেন খান। তিনি নারায়নগঞ্জের বহুল আলোচিত সাত খুনের মামলায় বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান।
মঙ্গলবার নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এই সিদ্ধান্ত জানান বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, “স্থানীয় নেতৃবন্দের সাথে আলোচনা করে বিএনপি প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে। বিএনপি তথা ধানের শীষের প্রার্থী হচ্ছেন অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান।”
নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সহসভাপতি সাখাওয়াতকে এ নির্বাচনে লড়তে হবে বর্তমান মেয়র ও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভীর সঙ্গে। আগামী ২২ ডিসেম্বর ভোট হবে রাজধানীর লাগোয়া এই সিটি করপোরেশনে।
নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি সাখাওয়াত নারায়ণগঞ্জের চাঞ্চল্যকর সাত খুনের ঘটনায় নিহত আইনজীবী চন্দন সরকারের জামাতা বিজয় কুমার পালের পক্ষে মামলা লড়ার কারণে গত দুই বছরে পরিচিতি পেয়েছেন।
বর্তমান মেয়র আইভী ২০১১ সালের নির্বাচনে স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় অনেক নেতার বিরোধিতার মধ্য প্রার্থী হয়েছিলেন। নির্বাচনে তিনি হারিয়েছিলেন দলের আরেক প্রভাবশালী নেতা এ কে এম শামীম ওসমানকে।
গত শুক্রবার আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার নির্বাচনের মনোনয়ন বোর্ড আইভীকে আবারও মেয়র পদে মনোনয়ন দেয়।
গত নির্বাচনে মেয়র পদে তৈমুর আলম খন্দকারকে বিএনপি সমর্থন দিলেও ভোটের আগের রাতে তাকে সরে দাঁড়াতে বলা হয়। দলের ওই সিদ্ধান্ত নিয়ে বিভিন্ন সময়ে মনোকষ্টের কথা বলেছেন জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমুর।
এবারের নির্বাচনেও বিএনপি তাকে প্রার্থী করার আগ্রহ দেখিয়েছিল। কিন্তু গতবারের অভিজ্ঞতার কথা মনে করিয়ে দিয়ে অনীহা প্রকাশ করেন তৈমুর।
মনোনয়ন চূড়ান্ত করার আগে সোমবার রাতে মনোনয়নপ্রত্যাশী এবং নারায়ণগঞ্জের নগর–জেলা–থানা–ওয়ার্ড নেতাদের সঙ্গে বসে তাদের মতামত শোনেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
গুলশানে কার্যালয়ে ওই বৈঠকে জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমুর আলম খন্দকার, সাধারণ সম্পাদক কাজী মুনির, সহসভাপতি সাখাওয়াত হোসেন খান, সাবেক সাংসদ আবুল কালাম, আতাউর রহমান আঙ্গুর, মহানগর সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামাল, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সভাপতি অধ্যাপক মামনুর রশীদ উপস্থিত ছিলেন।