1. sardardhaka@yahoo.com : adminmoha : Sardar Dhaka
  2. nafij.moon@gmail.com : Nafij Moon : Nafij Moon
  3. rafiqul@mohajog.com : Rafiqul Islam : Rafiqul Islam
  4. sardar@mohajog.com : Shahjahan Sardar : Shahjahan Sardar
শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৫:৩৫ পূর্বাহ্ন

সেনাবাহিনীকে সব সময় প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী

মহাযুগ নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ২৩ নভেম্বর, ২০১৬
  • ২৭৯ বার

প্রতিবেদক : আভ্যন্তরীণ ও বহির্বিশ্বের যেকোন হুমকি মোকাবেলায় সেনাবাহিনীকে সব সময় প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার সিলেটের জালালাবাদ সেনানিবাসে  ১১ পদাতিক ব্রিগেডসহ নয় ইউনিটকে পতাকা প্রদান অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।
সেনাবাহিনীর সদস্যদের প্রতি উদ্দেশ্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেনাবাহিনী দেশের সম্পদ। তাই সকল সদস্যদের ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বের প্রতি আনুগত্য ও পেশাদারিত্বের সাথে কাজ করতে হবে।

সিলেটে সেনাবাহিনীর ১৭ পদাতিক ডিভিশনের উন্নয়ন ওই অঞ্চলের মানুষের মধ্যে আশা জাগিয়েছে এবং সেনা সদস্যদের কাছে তাদের প্রত্যাশা বেড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, এই বাহিনীর উন্নয়নে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেয়া হবে।

২০১৩ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর সিলেটে সেনাবাহিনীর ১৭ পদাতিক ডিভিশনের যাত্রা শুরু হয়। তিন বছরের মাথায় এ ডিভিশনের অধীনে একটি নতুন পদাতিক ব্রিগেডসহ নয়টি ইউনিটের গোড়াপত্তন করা সম্ভব হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করে সরকারপ্রধান বলেন, “আমি সত্যিই অভিভূত।”
নতুন ব্রিগেড ও ইউনিট প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে সিলেট অঞ্চলে অবকাঠামো, সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে নতুন প্রাণ সৃষ্টি হয়েছে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “১৭ পদাতিক ডিভিশনের উন্নয়ন এ অঞ্চলের মানুষের মধ্যে আশা জাগাচ্ছে এবং আপনাদের কাছে তাদের প্রত্যাশা বেড়েছে।”
দেশের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্রিগেড পর্যায়ে স্পেশাল ফোর্স গঠনের বিষয়টি সরকারের বিবেচনায় রয়েছে।

তিনি বলেন, “আজকের এই দিনটি সেনাবাহিনীর জন্য অত্যন্ত আনন্দের একটি দিন, পরিপূর্ণতা অর্জনের দিন।”
নতুন এই ব্রিগেড ও ইউনিটগুলোর ‘বিক্রমশালী’ প্রতিটি সদস্য দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সকল বাধা বিপত্তি অতিক্রম করে এ ডিভিশনের শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করবেন।
দেশ স্বাধীন হওয়ার পর সেনাবহিনীর উন্নয়নে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথাও প্রধানমন্ত্রী মনে করিয়ে দেন।
বঙ্গবন্ধু উন্নত ও পেশাদার সেনাবাহিনীর প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করে ১৯৭৪ সালেই প্রতিরক্ষা নীতিতে দিক নির্দেশনা দিয়েছিলেন জানিয়ে পিতার বক্তৃতা থেকে কিছু অংশ উদ্ধৃত করেন শেখ হাসিনা।
“তিনি বলেছিলেন, ‘পদ্ম, মেঘনা ও যমুনা নদী সমগ্র দেশকে তিনটি ভাগে বিভক্ত করেছে। সেনাবাহিনীকেও সেই মোতাবেক সক্ষমতার দিক থেকে স্বতন্ত্র ও প্রশাসনিকভাবে সামর্থ্যবান তিনটি কমান্ডে নিয়োজিত হতে হবে’।”
বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, “১৯৭৪ সালে জাতির পিতার সুদূরপ্রসারী ওই প্রতিরক্ষা নির্দেশনার আলোকেই আমরা ১৯৯৬ সালে ক্ষমতা গ্রহণ করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে একটি জ্ঞানভিত্তিক পেশাদার বাহিনী হিসাবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিলাম।
“এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে আমরা সেনাবাহিনীর অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি প্রতিটি সদস্যের নৈতিক ও মানসিক শক্তি এবং পেশাগত জ্ঞান বৃদ্ধির পদক্ষেপ নিয়েছি।”
তিনি জানান, ফোর্সেস গোল-২০৩০ এর আওতায় তিন বাহিনীর পুনর্গঠন ও আধুনিকায়নের কার্যক্রমগুলো পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
আওয়ামী লীগ টানা দ্বিতীয় মেয়াদে সরকারের দায়িত্ব নেওয়ার পর দেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দৃঢ় করার জন্য সেনাবাহিনীর উন্নয়ন ও সম্প্রসারণের অংশ হিসাবে নতুন পদাতিক ডিভিশন ও বেশ কিছু ব্রিগেড প্রতিষ্ঠার কথা প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, তার সরকারের চলতি মেয়াদে সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষণ, অস্ত্র, সরঞ্জামাদি ও জনবলের ক্ষেত্রে ‘অভূতপূর্ব’ উন্নতি হয়েছে।
ফোর্সেস গোলের আওতায় ইতোমধ্যে সেনাবাহিনীর সাঁজোয়া কোরে অত্যাধুনিক ট্যাংক, গোলন্দাজ বাহিনীর কামান, আকাশ প্রতিরক্ষার অংশ হিসাবে মিসাইল সিস্টেম, পদাতিক বাহিনীর ট্যাংক বিধ্বংসী মিসাইল এবং আর্মি এভিয়েশনে যুদ্ধবিমান ও হেলিকপ্টার সংযোজনের কথা প্রধানমন্ত্রী বক্তৃতায় বলেন।
তিনি জানান, বরিশাল ও পটুয়াখালী জেলার মধ্যবর্তী পায়রা নদী সংলগ্ন এলাকায় লেবুখালী সেনানিবাসে একটি পদাতিক ডিভিশন গঠনের নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে সরকার।
এভাবেই দ্রুত ও সমন্বিত আধুনিকায়নের মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে যুগোপযোগী করে গড়ে তোলার দৃঢ় আশা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের ‘অক্লান্ত’ চেষ্টা ও কূটনৈতিক সাফল্যের ফলে জাতিসংঘ মিশনের বিভিন্ন উচ্চতর পদে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অফিসাররা এখন কাজ করছেন।
সেনা সদস্যদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “আপনারা জানেন, আমাদের সম্পদ সীমিত। তা সত্ত্বেও বর্তমান সরকার সেনাবাহিনীর জন্য বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কার্যক্রম গ্রহণ করে যাচ্ছে। এ ধারা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।”
সেনা সদস্যদের পেশাগতভাবে দক্ষ, সামাজিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধে উদ্বুদ্ধ হয়ে সৎ এবং মঙ্গলময় জীবনের অধিকারী হওয়ার ওপরও গুরুত্ব আরোপ করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি সংবিধান ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সেনা সদস্যদের ঐক্যবদ্ধ থেকে আভ্যন্তরীণ কিংবা বাহ্যিক যে কোনো হুমকি মোকাবিলায় সদা প্রস্তুত থাকতে বলেন।
প্রধানমন্ত্রী সকালে ১১ পদাতিক ব্রিগেডের সদরদপ্তরে পৌঁছালে সেনাপ্রধান আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হক এবং ১৭ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি ও সিলেট এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল আনোয়ারুল মোমেন তাকে স্বাগত জানান।
১১ পদাতিক ব্রিগেডসহ নয় পদাতিক ইউনিটের পতাকা উত্তোলন শেষে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী।

এ জাতীয় আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2023 Mohajog