1. sardardhaka@yahoo.com : adminmoha :
সোমবার, ২৭ মার্চ ২০২৩, ০১:২৮ অপরাহ্ন

বিদেশি চ্যানেলে বিজ্ঞাপন প্রচার বন্ধে নোটিস

মহাযুগ নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ২৯ নভেম্বর, ২০১৬
  • ২৫৪ বার

প্রতিবেদক : বাংলাদেশে সম্প্রচারে থাকা বিদেশি চ্যানেলগুলোতে সব ধরণের বিজ্ঞাপনের প্রচার চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে বন্ধ করতে আইনি নোটিস দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী। অ্যাডভোকেট একলাছ উদ্দিন ভূইয়া মঙ্গলবার তথ্য ও বাণিজ্য সচিবসহ সাত বিবাদীর কাছে এই লিগ্যাল নোটিস পাঠিয়েছেন বলে তিনি জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, নোটিস পাওয়ার পর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দেশে সম্প্রচারিত কোনো বিদেশি চ্যানেল বিজ্ঞাপন প্রচার বন্ধ না করলে জনস্বার্থে উচ্চ আদালতের আশ্রয় নেওয়া হবে।

নোটিসে বলা হয়, ‘কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন, ২০০৬’ এর ১৯ (১৩) ধারা অনুসারে বাংলাদেশে সম্প্রচারিত বিদেশি কোনো চ্যানেলে বিজ্ঞাপন প্রচার নিষিদ্ধ।

“আইনের উল্লেখিত ধারা লঙ্ঘন করলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড বা একলাখ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবেন। অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন, যা একই আইনের ২৮ ধারার ২ উপধারায় বলা হয়েছে।”

কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইনের ১৯ ধারার পরিপন্থী হলে সরকার তাৎক্ষণিকভাবে বা যাচাই করে চ্যানেলের বিপণন, প্রজ্ঞাপন ও সম্প্রচার সাময়িকভাবে বা স্থায়ীভাবে বন্ধের নির্দেশ দিতে পারে বলে নোটিসে উল্লেখ করা হয়েছে।

অন্য বিবাদীরা হলেন- জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়াম্যান, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর, বিটিআরসির চেয়ারম্যান, ন্যাশনওয়াইড মিডিয়া লিমিটেডের ও ডিজি যাদু ব্রডব্যান্ড লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক।

এর আগে গত ২৪ নভেম্বর বিদেশি চ্যানেলে বাংলাদেশি পণ্যের বিজ্ঞাপন প্রচারে দুই বছরের কারাদণ্ডসহ অন্যান্য দণ্ডের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ন্যাশনওয়াইড মিডিয়া লিমিটেড ও ‍ডিজি যাদু ব্রডব্যান্ড লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে সতর্কীকরণ নোটিস পাঠায় তথ্য মন্ত্রণালয়।

টেলিভিশন চ্যানেলসংশ্লিষ্টদের বিভিন্ন সংগঠন নিয়ে সম্প্রতি গড়ে ওঠা জোট ‘মিডিয়া ইউনিটির’ পক্ষ থেকে বিদেশি চ্যানেলে বিজ্ঞাপন প্রচার বন্ধের বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে সম্প্রতি তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর কাছে অনুরোধ জানানোর পর ওই পদক্ষেপ নেওয়া হয়।

ওই বৈঠকের পর সংগঠনের আহ্বায়ক একাত্তর টিভির প্রধান সম্পাদক মোজাম্মেল বাবু বলেন, “ভারতীয় কিছু চ্যানেল বাংলাদেশে ডাউনলিংক হচ্ছে, যেগুলো ভারতেও প্রদর্শিত হয় না। বাংলাদেশের বিজ্ঞাপন খাতের টাকা গ্রাস করাই এর উদ্দেশ্য।”

‘মিডিয়া ইউনিটির’ এক লিখিত বক্তব‌্যে বলা হয়, “দেশের বিজ্ঞাপনের বাজার বিদেশি চ্যানেলের হাতে চলে গেছে। গত কয়েক বছরে এসব চ্যানেল বাংলাদেশের কিছু কোম্পানির কাছে পাওনা বাবদ বকেয়া দেখিয়ে প্রভাব খাটিয়ে সেই টাকা নিয়ে যেতে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতিও বের করেছে।”

সেই অনুমতিপত্রের মাধ্যমে গত এক বছরে দেশ থেকে কোটি কোটি টাকা পাচার হয়েছে বলেও অভিযোগ এ সংগঠনের।

এ জাতীয় আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2020 Mohajog